দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ- এফডিআই কমছে। কারণ হিসেবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- বিডা। সংস্থাটি বলছে, বিনিয়োগ আকর্ষণে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে বিশ্বব্যাপী এর সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে অন্তত দুই বছর। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যবসায়িক খরচ কমানোর পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে দীর্ঘমেয়াদী কর কাঠামো করতে না পারলে উজ্জ্বল হবে না ভাবমূর্তি।অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি আর দেশের রিজার্ভ বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ- এফডিআই। তবে, বাংলাদেশে এফডিআইর শীর্ষ দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার প্রবণতায় উদ্বেগ বাড়ছে।গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডস থেকে সরাসরি বিনিয়োগ বেড়েছে। এর পেছনে রয়েছে একটি তামাক কোম্পানি অধিগ্রহণে চুক্তির অর্থছাড়। তবে, দেশের শীর্ষ বিনিয়োগ উৎস যুক্তরাজ্য থেকে বিনিয়োগ আসার হার কমেছে ৪০ শতাংশের বেশি।রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, কাস্টমস জটিলতা ও জ্বালানিসহ ব্যবসায়ের ইতিবাচক পরিবেশ না থাকা ও নেতিবাচক ভাবমূর্তি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলছে বলে বিশ্লেষণ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- বিডার।আরও পড়ুন: দেশের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে কোরীয় বিনিয়োগকারীদের আহ্বানবিডার বিজনেস হেড নাহিয়ান রহমান রচি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে এটি একটি কারণ। এখানে আবাসনখাতে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। আমরা সেই জায়গাটিকে চিহ্নিত করে কাজ করছি। তবে, পণ্য খালাসের সময় কমিয়ে আনাসহ কাস্টমসের জটিলতা কমিয়ে আনলে এখানে ব্যবসা করার আরও সহজ হবে।’এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, নতুন বিদেশি বিনিয়োগ উদ্বেগজনক হারে কমলেও বাজার বিবেচনায় পুনর্বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে পুরনোরা।বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যবসায়িক খরচ কমানো, কর কাঠামোর স্থিতিশীলতা নিশ্চিতের পাশাপাশি কাস্টমসের হয়রানি বন্ধের পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।এফডিআই বাড়াতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতের তাগিদ বিশ্লেষকদের।