‘মুসলিমদের ওপর অত্যাচার’ নিয়ে প্রশ্ন, দিল্লিতে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক বরখাস্ত

খবরের শিরোনামে এবার ভারতের দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (জেএমআই)। জেএমআই’র একজন অধ্যাপকের সেমিস্টার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই ওই অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে বিএ (অনার্স) সোশ্যাল ওয়ার্কের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষায়। ‘সোশ্যাল প্রবলেমস ইন ইন্ডিয়া’ বিষয়ের পরীক্ষায় ১৫ নম্বরের একটি প্রশ্ন ছিল- ‘উদাহরণসহ ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপরে হওয়া অত্যাচার সম্পর্কে আলোচনা করো।’ প্রশ্নপত্রটি তৈরি করেন অধ্যাপক বীরেন্দ্র বালাজি শাহারে। আর এই প্রশ্নপত্রটির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। তারপরই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এমনকি কোনো সদস্যের অবহেলা এবং অসাবধানতাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।  আরও পড়ুন: ভারতে এক শ্রমিককে ‘বাংলাদেশি ভেবে’ পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-কে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি তার রিপোর্ট জমা না দেয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যাপককে সাসপেন্ড হয়ে থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব এবং প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’ বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সিএ শেখ সফিউল্লাহ স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, সাসপেন্ডের সময়কালে অধ্যাপক শাহারে সদর দফতর নয়াদিল্লিতে থাকবেন এবং তিনি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি ছাড়া সদর দফতর ছাড়তে পারবেন না। এই বিষয়টি নিয়ে নিয়ম অনুযায়ী পুলিশে এফআইআর করা হবে বলেও জানা গেছে। জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বীরেন্দ্র বালাজি শাহারের প্রোফাইল অনুযায়ী, ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন তিনি। এমন এক অভিজ্ঞ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এমন কঠোর পদক্ষেপ নেয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিক্ষক মহলেও। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস