ইনকিলাব মঞ্চের সাবেক মুখপাত্র শরিফ ওসমান গনি হাদি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আলমগীরের এক সহযোগীকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতার ওই ব্যক্তির নাম হিমন। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, আদাবর থানা যুবলীগ কর্মী হিমনকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও প্রচুর বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করেছে আদাবর থানা পুলিশ। গ্রেফতার হিমন হাদি হত্যায় জড়িত মোটরসাইকেল চালক আলমগীরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। হাদিকে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মূল অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা মো. হুমায়ুন কবির, মা মোছা. হাসি বেগম, স্ত্রী, প্রেমিকা ও শ্যালককে গ্রেফতার করেছে। আরও পড়ুন: যে কারণে হাদির ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণের নির্দেশ এদিকে ইনকিলাব মঞ্চের সাবেক আহ্বায়ক ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। হাদি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ আবেদনে বলেন, প্রধান আসামি ফয়সালকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ। তদন্তকালে জানা গেছে, ফয়সাল করিম এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটি টাকার বেশি অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। আরও পড়ুন: যৌথ বিবৃতিতে যা বললেন আট সংস্থা ও ৪৬ ব্যক্তি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে একটি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে মাথায় গুলি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। তিন দিন পর ১৮ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়। ফয়সাল করিম মাসুদকে আসামি করে ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। হাদি মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়।