কমিশনার বাড়িয়ে দুদক অধ্যাদেশ জারি, কমছে মেয়াদ

দুর্নীতি দমন কমিশনকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে সংস্থাটিকে কলেবরে বাড়ানো হয়েছে। কমিশনের সদস্যসংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা এবং কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব বিষয় সংশোধনী এনে দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করেছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরীর সই করা এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এই অধ্যাদেশ ‘দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অভিহিত হবে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে দুদক আইনের খসড়া অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয় সরকার। সংশোধিত খসড়া প্রকাশের পর সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইস্তেখারুজ্জামান এর তীব্র সমালোচনা করেন। এর দুই মাস পর সেই খসড়ায় কিছু সংশোধনী এনে চূড়ান্ত অধ্যাদেশ জারি করা হলো। অধ্যাদেশে বলা হয়, এখন থেকে দুদক হবে অনধিক পাঁচ সদস্যের একটি কমিশন। আগে কমিশনের সদস্য সংখ্যা ছিল তিন। একই সঙ্গে কমিশনের মেয়াদ এক বছর কমিয়ে চার বছর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল পাঁচ বছর। আরও পড়ুনসবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত বিআরটিএ, ঘুস দেওয়ার শীর্ষে নোয়াখালী মান্না ঋণখেলাপি, অংশ নিতে পারবেন না নির্বাচনে  কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রেও নতুন বাধ্যবাধকতা যুক্ত করা হয়েছে। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কমিশনে অন্তত একজন নারী কমিশনার এবং অন্তত একজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কমিশনার থাকতে হবে। কমিশনের সদস্যদের মধ্য থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেবেন। তবে বিদ্যমান কমিশনের ক্ষেত্রে এই সংশোধিত অধ্যাদেশ কার্যকর হবে কি না-সে সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর ন্যস্ত রাখা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশ নিয়ে দুদক সংশ্লিষ্টদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হতে পারে। অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর দুদককে তাদের কার্যক্রমের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি দুদকের সব কর্মকর্তার জন্য সম্পদের হিসাব জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষমতাও দুদককে দেওয়া হয়েছে। এসএম/কেএসআর