সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আপত্তিকর’ ভিডিও দেয়ায় সহকারী শিক্ষিকা বরখাস্ত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ‘কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর’ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সহকারী শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তাকে বরখাস্ত করে। সাময়িক বরখাস্ত নুসরাত জাহান নাচোল উপজেলার বহরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে সময় সংবাদকে বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমে ওই শিক্ষিকার কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’ জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নুসরাত জাহান ফেসবুক ও টিকটকে নিজের জিম করার ভিডিও আপলোড করে আসছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, এসব ভিডিওতে তাকে ‘অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও আপত্তিকর পোশাকে’ দেখা গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভিডিওগুলো ভাইরাল হলে স্থানীয়ভাবে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। আরও পড়ুন: বিএনপি প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন আ.লীগের সমর্থকরা, অভিযোগ জামায়াতের এ বিষয়ে বহরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, ‘জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আজ (বুধবার) নুসরাত জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। এর আগে শিক্ষা অফিস তাকে শোকজ করেছিল। তিনি জবাবও দিয়েছিলেন এবং ভুল স্বীকার করে সব ভিডিও ডিলিট করেছিলেন।’ প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘ভিডিওগুলো তার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের অংশ। বিদ্যালয়ে পাঠদান বা উপস্থিতির সময়ে এসব করা হয়নি। এমনকি তার বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো অভিযোগও নেই। তবে এর আগে তাকে আপত্তিকর ভিডিও আপলোড করতে নিষেধ করা হয়েছিল।’ অন্যদিকে, ভিডিওগুলো আপত্তিকর নয় বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা নুসরাত জাহান। তিনি সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে পাঠদান বা উপস্থিতি সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ নেই। ব্যক্তিগত জীবনে আমি জিম করার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেছিলাম। দেশে প্রচলিত পোশাক পরিধান করেই এসব ভিডিও ধারণ করা। কিন্তু আমাকে হেনস্তা করতেই মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। এর আগে নোটিশ পাওয়ার পরই আমি ভিডিও ডিলিট করি এবং ফেসবুক আইডিও ডিঅ্যাকটিভ করেছিলাম।’