বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নড়াইল থেকে হাজারো নেতাকর্মী ও সমর্থকের সঙ্গে ঢাকায় যাওয়ার পথে কৃষক দলের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম মুন্সী খায়রুজ্জামান আলম। তিনি লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক ছিলেন।বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় চলন্ত বাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন মুন্সী খায়রুজ্জামান আলম। দ্রুত তাকে ভাঙ্গা সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।মুন্সী খায়রুজ্জামান আলম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত চেরাগ মুন্সির ছেলে।লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতানুজ্জামান সেলিম মুঠোফোনে সময় সংবাদকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন। এই উপলক্ষে নড়াইল জেলা থেকে হাজারো নেতাকর্মী ঢাকায় রওনা হন। বুধবার রাতে লোহাগড়া সিএন্ডবি চৌরাস্তা এলাকা থেকে তারা বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। পথে নড়াইল–ঢাকা মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় পৌঁছালে মুন্সী খায়রুজ্জামান আলম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।তিনি জানান, কয়েকজন নেতাকর্মী মরদেহটি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন, আর বাকিরা ঢাকায় যাচ্ছেন। আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় বিএনপি নেতার মৃত্যুএদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নড়াইল জেলা জুড়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতার দেশে ফেরাকে ঘিরে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।তিনি আরও জানান, জেলার তিনটি উপজেলা থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী বাস, মাইক্রোবাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও ট্রেনে করে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। ইতিহাসের সাক্ষী হতে নড়াইল সদর, লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলা থেকে দলবেঁধে নেতাকর্মীরা ঢাকামুখী হন। এই পথেই লোহাগড়া উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মুন্সী খায়রুজ্জামান আলমের মৃত্যু হয়।জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।