দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষায় ব্যাকুল হয়ে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে উঠে আসনে বসার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেইজে ছবি দিয়ে লেখা একটি শব্দ থেকেই তা বোঝা যাচ্ছে।বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে দেয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেইজে এক পোস্টে বোর্ডিং পাস পূরণের একটি ছবি দিয়ে তিনি লিখেন ‘ফেরা’।তারেক রহমানের ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২:৩৬ মিনিটে) হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার ফ্লাইটটি পৌঁছানোর কথা।বিমান সূত্রে জানিয়েছে, ফ্লাইট বিজি-২০২ বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে আসছেন তারেক রহমান। রুটটি লন্ডন হিথ্রো–সিলেট–ঢাকার। এতে উচ্চপদস্থ যাত্রী থাকার কারণে বিমান পরিচালনায় বিশেষ সমন্বয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।আরও পড়ুন: তারেক রহমানকে একনজর দেখতে নির্ঘুম রাত নেতাকর্মীদের, ভোরে জনতার ঢলফ্লাইটে তারেক রহমানের বিশেষভাবে A1 সিট বরাদ্দ করা হয়েছে।এর আগে বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে লন্ডনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান।শিডিউল অনুযায়ী, সিলেটে প্রথম অবতরণ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। সিলেটে প্রায় এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ডের পর বিমানটি সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। শেষ পর্যায়ে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে অবতরণ করার কথা রয়েছে।আরও পড়ুন: জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে সাজ সাজ রব, তারেক রহমানকে বরণে উৎসবের জোয়ার বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের সঙ্গে ফ্লাইটে আরও আছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সচিব আব্দুর রহমান সানি, দলের প্রেস উইংয়ের সালেহ শিবলী ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কামাল উদ্দীন। আরও আছেন সৈয়দ মইনউদ্দিন আহমেদ এবং তাবাসসুম ফারহানা। এদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে বিএনপিতে বইছে উৎসবের জোয়ার। তাকে নজিরবিহীন গণসংবর্ধনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। ঐতিহাসিক সেই ক্ষণের সাক্ষী হতে বুধবার থেকেই পথে পথে ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। আগের দিনই কর্মী সমর্থকে ভরে উঠেছে রাজধানীর জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। সেখানে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।গণসংবর্ধনা মঞ্চও প্রস্তুত। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো ৩শ ফিট এলাকা। বুধবার সকাল থেকেই সভাস্থলে দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। রাতে শীত উপেক্ষা করে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। বলছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপস্থিতি আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পৌঁছে দেবে বিজয়ের বন্দরে।