তারেক রহমানের গণসংবর্ধনায় শেরপুর থেকে ঢাকার পথে ১৫০ বাস

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে গণসংবর্ধনায় যোগ দিতে শেরপুর থেকে ১৫০টি বাস নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়াও প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ট্রেনে করে এরই মধ্যে অসংখ্য নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। সবমিলিয়ে ময়মনসিংহ থেকে আনুমানিক ১৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাবেন। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে স্থানীয় বিএনপি ও পরিবহন মালিক সমিতি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শেরপুরের পাঁচটি উপজেলা ও চারটি পৌরসভার ৩টি সংসদীয় আসনের দলীয় প্রার্থী, জেলা, উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রায় ১৫ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় যাচ্ছে। বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে যাতায়াতের সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। শুধু সদর আসন থেকে ধানের শীষের প্রার্থী ডাক্তার সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কার নেতৃত্বে ৬৫টি বাসসহ ১০টি প্রাইভেটকারে নেতাকর্মী তারেক রহমানকে বরণ করতে অংশ নেবেন। ইতিমধ্যে অনেকই চলে গেছেন। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রভাষক মামুনুর রশিদ পলাশ জাগো নিউজকে বলেন, ২৫ ডিসেম্বর ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় মজলুম নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বসিত। আর ভিড় এড়াতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী আগেভাগেই ঢাকায় চলে গেছেন। বাকিদের জন্য জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলা থেকে বাস ও মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শেরপুর জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি শওকত হোসেন বলেন, বুধবার রাত থেকেই অনেক নেতাকর্মী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। জেলার প্রায় সব মাইক্রোবাস রিজার্ভ করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পাঁচটি উপজেলা থেকেই বাসগুলো ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-১ আসনের প্রার্থী ডা. সানসিলা প্রিয়াঙ্কা বলেন, দীর্ঘ দেড় যুগ নির্বাসিত জীবন শেষে এই প্রত্যাবর্তন শুধু একজন মজলুম নেতার ঘরে ফেরা নয়, এটি একটি ইতিহাস। আমরা আশা করছি, তার প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-২ আসনের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ দেড়যুগ পর দেশে পা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এজন্য ঢাকার ৩০০ ফিটে গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছে দল। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সব জেলা থেকেই ঢাকায় রওয়ানা দিচ্ছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। আর আমার নির্বাচনী এলাকা নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে প্রায় ৩৫টি বাস ও বেশ কিছু মাইক্রোবাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শেরপুর-৩ আসনের প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের এই প্রত্যাবর্তন ঐতিহাসিক মিলনমেলায় রূপ নেবে। কোটি ভক্তের সমাগম হবে। শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রতিটি ইউনিটেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। তরুণ প্রজন্মও এ নিয়ে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত। আমার আসন থেকেও ২০টি বাস, প্রায় ৩০টি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন এবং অনেকে ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছেন। এ মো. নাঈম ইসলাম/এনএইচআর