পঞ্চগড়ে স্পেশাল ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেলো যুবকের

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী স্পেশাল ট্রেনে কাটা পড়ে আখিরুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে৷ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে পঞ্চগড় উপজেলা সদরের ধাক্কামারা টেঙ্গনমারি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আখিরুল মাগুড়া শিপাইপাড়া এলাকার আবুল হোসেন ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক। ঘটনার পরপরই রেললাইনে স্লিপার ফেলে এবং অবস্থান নিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। পঞ্চগড় স্টেশন থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া একতা এক্সপ্রেস স্টেশন ত্যাগ করে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে স্থানীয়দের তোপের মুখে আবারও স্টেশনে ফিরে যেতে বাধ্য হয় ট্রেনটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। স্থানীয়রা জানান, রাত ৮টায় স্পেশাল ট্রেনটি পঞ্চগড় স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। স্পেশাল এই ট্রেনের তথ্য জানতেন না স্থানীয়রা। এমনকি ট্রেনটি কোনো হুইসেলও দেয়নি বলে দাবি তাদের। ট্রেনটি টেঙ্গনমারির কাছাকাছি পৌঁছালে পাশের সড়ক থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে রেললাইন পার হতে গিয়ে লাইনের ওপর ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তড়িঘড়ি করে গাড়ি থেকে নিজের পরিবারের সবাইকে নামিয়ে দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে ঠেলে গাড়িটি লাইন থেকে সরাতে পারলেও লাইনের ওপর পড়ে যান আখিরুল। মুহূর্তেই তার শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। স্বপরিবারে আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে ফিরছিলেন তারা। পঞ্চগড় রেল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ধাক্কামারা টেঙ্গনমারি এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজন নিহতের ঘটনায় রেললাইনে অবস্থান নিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা। পঞ্চগড় স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া একতা এক্সপ্রেস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আবারও স্টেশনে ফিরে আসে। রাত সাড়ে ১১টার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে রেললাইনে অবস্থান নিয়ে পিলার ফেলে রেলপথ অবরোধ করেন। এতে রাত সাড়ে ৮টা থেকে ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। রাত ৯টা ১০ মিনিটে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও ওই দুর্ঘটনা কবলিত স্থান থেকে পুনরায় পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশনে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এতে উভয় পাশে হাজার হাজার যাত্রী আটকা পড়েন। রাত ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা সবার সঙ্গে কথা বলি। রাত সাড়ে ১১টায় রেললাইন থেকে অবরোধ অপসারণ করা হয় এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সফিকুল আলম/এফএ