দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরছেন আজ। এই দিনটিকে বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন তারেক রহমান। শিডিউল অনুযায়ী, সিলেটে প্রথম অবতরণ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে। সিলেটে প্রায় এক ঘণ্টার গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ডের পর বিমানটি সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। শেষ পর্যায়ে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরে নামার পর ভিআইপি লাউঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এরইমধ্যে বিমানবন্দরে প্রবেশে করেছেন বিএনপির কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্য। বিমানবন্দরে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আরও পড়ুন: রাজধানীজুড়ে উৎসবের আমেজ, সংবর্ধনাস্থলে সমর্থকদের ঢল তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান আজ নিজের মাতৃভূমিতে অবতরণ করবেন। দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর কষ্টকর নির্বাসিত জীবন শেষে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, সারা দেশবাসী অপেক্ষমাণ তাকে একনজর দেখার জন্য, দুটো কথা শোনার জন্য। আমরা সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’ তিনি আরও বলেন,বাংলাদেশের বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ঘটনা আজকে ঘটতে যাচ্ছে। সারা দেশবাসী আজ সেটা দেখবেন, সারা বিশ্ববাসী দেখবেন। ইনশাআল্লাহ আমরা আশা করি এই মুহূর্তটি আমরা ঐতিহাসিব মুহূর্ত হিসেবে পালন করতে পারবো। আরও পড়ুন: বাস, লঞ্চ, ট্রেনে দলে দলে ঢাকার পথে নেতাকর্মীরা ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় আটক হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দী ছিলেন তারেক রহমান। মুক্তি পাওয়ার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে চলে যান তারেক রহমান। সে বছরের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে আসার পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায় তার। একের পর এক মামলায় জর্জরিত তারেক রহমানের দেশে ফেরা হয়নি আর।