রাজনৈতিক দল গঠন করে হুমায়ুন কবীরের হুংকার, ‘অপেক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী’

ভারতে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আলোচনায় নতুন রাজনৈতিক দল জনতা উন্নয়ন পার্টি। দলটির সভাপতিত্ব করছেন বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কেন্দ্র করে আলোচনায় আসা বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীর। নতুন দল গঠন করেই এবার তৃণমূলকে রাজ্য থেকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন তিনি।মুর্শিদাবাদ জেলা মূলত মুসলিম অধ্যুষিত জেলা বলেই পরিচিত। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, জেলার মোট বাসিন্দা ছিল প্রায় ৭২ লাখ। তবে গত ১৪ বছরে সেই সংখ্যা কমবেশি ১ কোটির মতো বলেই ধারণা করা হয়। এ জেলার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদা, নদীয়া এবং বীরভূম জেলাতেও বিপুল সংখ্যক মুসলিম নাগরিকের বসবাস। আর এই বিশাল জনসংখ্যা লক্ষ্য করে রাজনৈতিক সমীকরণে নতুন করে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলেরই রাতের ঘুম কার্যত উধাও। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙার মির্জাপুরে প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ার পর, রাজ্যের মুসলিম সমাজের বড় একটি অংশ এক হতে শুরু করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ নির্মাণ ঘিরে ভারতে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক! আর সেই সমাজকে এক ছাতার তলায় এনে রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস এবং কেন্দ্রের শাসক বিজেপিকে এক হাত নিতে চান বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কেন্দ্র করে আলোচনায় আসা বহিষ্কৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীর। সেই লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জনতা উন্নয়ন পার্টি নামের নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিলেন তিনি। সভামঞ্চে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় কার্যত শাসক শিবিরের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ নতুন দল ঘোষণা করেই প্রকাশ্যে তৃণমূল ও বিজেপি—দু’পক্ষকেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন এই মুসলিম নেতা। হুমায়ন কবীর বলেন, ‘তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে, মুসলমানরা তোমাকে জবাব দেবে, অপেক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী।’ আরও পড়ুন: ভারতের বাবরি মসজিদের আদলে বাংলাদেশে নির্মিত হচ্ছে বিশাল মসজিদ জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রথম সভায় যোগ দেয়া অধিকাংশ মানুষই ছিলেন সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাদের বড় অংশ রাজ্যের বর্তমান শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানান। পাশাপাশি প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ নিয়ে তাদের আবেগ ও অনুভূতির কথাও তুলে ধরেন অনেকেই। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার আগে, কিছুদিন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গেও রাজনৈতিক যোগাযোগ ছিল হুমায়ন কবীরের। কংগ্রেস, তৃণমূল এবং বিজেপি—এই তিন দলের পর এবার নিজের দল জনতা উন্নয়ন পার্টি গড়ে রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি।