কমলাপুরে গণসংবর্ধনায় যোগ দিতে আসা মানুষের চাপ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ৩০০ ফিটের গণসংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশ্যে ছুটছে মানুষ। এর প্রভাব পড়েছে কমলাপুর স্টেশনেও। যদিও সমাবেশে আসা অধিকাংশ ট্রেনের যাত্রীরাই এয়ারপোর্ট স্টেশনে নেমে যাচ্ছেন, তারপরও খুলনা থেকে আসা ট্রেনগুলোর কারণে যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে কমলাপুর স্টেশনে। এছাড়া, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত খুলনা এবং নড়াইল থেকে তিনটি স্পেশাল ট্রেন এসে পৌঁছেছে স্টেশনে। তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এসব ট্রেন চলছে। ওই সব প্রতিটি ট্রেনে কয়েক হাজার করে যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মিত চলাচলকারী একাধিক ট্রেনে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়েছে। এতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত যাত্রী সমাগম হচ্ছে। অন্যদিকে, কিছু মানুষ কমলাপুর হয়ে এয়ারপোর্ট স্টেশন পর্যন্ত যাচ্ছেন গণসংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার জন্য। যে কারণে কমলাপুরে মূল স্টেশনে আগত মানুষের চাপ কম থাকলেও এয়ারপোর্টে যাওয়ার প্রচুর মানুষের চাপ রয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমানের অভ্যর্থনায় অংশ নিতে সারাদেশ থেকে যারা আসছেন, তারা বিমানবন্দর স্টেশনেই নামছেন। কারণ কমলাপুরে নামলে পূর্বাচল যাওয়া তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হবে। তিনি আরও জানান, শুধু দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যশোর ও খুলনার কয়েকটি ট্রেনের চাপ কমলাপুরে আছে। সকালে খুলনা স্পেশালে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লোক এসেছে। এছাড়া স্পেশাল ট্রেনে নেতাকর্মীরা আসছেন। এর আগে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢাকায় যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ১০টি রুটে ২০টি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিকে, কমলাপুরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা ও সেবাকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সারাদেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এনএইচ/এএমএ/এমএস