দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড ও ৩০০ ফিট এলাকায় বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়েছেন সেখানে। সারারাত ভ্রমণ করে ঢাকায় পৌঁছানো নেতাকর্মীরা শীত ও ক্লান্তি উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে অবস্থান করছেন। তীব্র ঠান্ডায় গ্রামের বাড়ি থেকে আনা রান্না করা খাবার গরম করতে লেকপাড়ে বসিয়েছেন অস্থায়ী চুলা। সেখানে গরম করা সেই খাবার ভাগাভাগি করে খাচ্ছেন তারা। সমাবেশস্থলে এই দৃশ্য এক অন্য রকম আবহ তৈরি করেছে। তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগের দিন থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে এসেছেন নেতাকর্মীরা। অনেকে সারারাত ভ্রমণ করে ভোরে পৌঁছেছেন। ক্লান্তি দূর করে সমাবেশ শুরুর আগ পর্যন্ত নিজেদের চাঙা রাখতে কেউ কেউ নিচ্ছেন হালকা বিশ্রাম, কেউ বা চা-নাস্তা সেরে নিচ্ছেন। এদিকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলি উপজেলা থেকে কৃষকদলের প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। বুধবার রাত ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে তারা কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন সমাবেশস্থলে পৌঁছান। সঙ্গে করে এনেছেন গ্রামের বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজধানীতে কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে শীতের অনুভূতি বেড়ে যায়। ঢাকায় এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শীতের কারণে সঙ্গে আনা রান্না করা খাবার জমে যায়। এতে বাধ্য হয়ে কুড়িল বিশ্বরোডের লেকপাড় থেকে শুকনো লাকড়ি সংগ্রহ করে অস্থায়ী চুলা তৈরি করেন তারা। সেই চুলাতেই গ্রামের বাসা থেকে আনা রান্না করা খাবার গরম করে পরিবেশন করছেন নেতাকর্মীরা। পাহাড়তলি কৃষকদলের থানা কমিটির সহ-সভাপতি মো. আবদুল বলেন, ‘গত রাতে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে ভোরে ঢাকায় পৌঁছাই। সকালে সমাবেশস্থলে এসে দেখি প্রচণ্ড ঠান্ডা। সঙ্গে আনা মাংসের তরকারি জমে গিয়েছিল। তাই পাশ থেকে লাকড়ি জোগাড় করে অস্থায়ী চুলা বানিয়ে খাবার গরম করছি। আমরা ৩০ জন একসঙ্গে গরম গরম খাবার খেতে পারবো, এটাই আমাদের আনন্দ।’ সমাবেশস্থলে এমন দৃশ্য নেতাকর্মীদের মধ্যে এক অন্য রকম আবহ তৈরি করেছে, যা তাদের ত্যাগ ও উদ্দীপনারই প্রতিফলন বলে জানিয়েছেন অনেকে। ইএআর/ইএ/এএসএম