ভারতের কর্ণাটকে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১১ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে চিত্রদুর্গ জেলার হিরিয়ুরের কাছে জাতীয় সড়ক ৪৮-এ একটি কন্টেইনার ট্রাকের সঙ্গে বিলাসবহুল স্লিপার বাসের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গোকর্ণাগামী বাসটিতে মোট ৩২ জন যাত্রী ছিলেন। সংঘর্ষের পর বাসটিতে আগুন ধরে যায় এবং বেশিরভাগ যাত্রী বাসের ভেতরেই পুড়ে মারা যান। ইস্ট জোনের আইজি রবি কান্থে গৌড়া জানান, বাসটি পুরোপুরি আগুনে ঢেকে যায়। বাসের চালক ও হেলপার প্রাণে বাঁচলেও ট্রাকের চালক ও তার সহকারী নিহতদের মধ্যে রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ট্রাকচালকের অবহেলাই দুর্ঘটনার কারণ। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরু থেকে পুনে ও মুম্বাইগামী সড়কে চলাচলরত ট্রাকটি ডিভাইডার টপকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের সঙ্গে ধাক্কা খায়। স্কুলবাসের সঙ্গেও সংঘর্ষ আইজি ড. বি আর রবি কান্থে গৌড়া জানান, একই সময় পাশ দিয়ে যাওয়া একটি স্কুলবাসও আগুনে পোড়া বাসটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে, ওই বাসে থাকা ৪৮ শিক্ষার্থীর কেউ আহত হয়নি। তিনি বলেন, স্কুলবাসটির চালক পুরো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তার বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ফায়ার টেন্ডার ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পাশাপাশি রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর একটি দলও উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। দমকল কর্মকর্তারা জানান, প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলে সকাল ৮টা পর্যন্ত। ক্ষতিপূরণ ঘোষণা দুর্ঘটনার পর কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া শোক প্রকাশ করেন এবং ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি জানান, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আহতদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে ৫০ হাজার রুপি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য হিন্দুকেএএ/