যশোর-১ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন, অবশেষে চূড়ান্ত হলেন বিএনপির লিটন

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যশোর-১ আসন শার্শাতে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তন হয়েছে। এবার ধানের শিষের চূড়ান্ত প্রার্থী হয়েছেন নুরুজ্জামান লিটন। নুরুজ্জামান লিটন শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি।বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নুরুজ্জামান লিটনের চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর ও মনোনয়ন প্রাপ্ত নুরুজ্জামান লিটন নিজেই।এর আগে এ আসনটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল বিএনপির সাবেক এমপি ও সাবেক কেন্দ্রীয় বিএনপির দফতর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে।এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হাসান জহীর বলেন, ‘দল থেকে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি নুরুজ্জামান লিটনকে দেয়া হয়েছে। এরপর দল থেকে তাকে প্রতীক দেয়া হবে।’আরও পড়ুন: নড়াইল-২ এর প্রার্থী পরিবর্তন করল বিএনপিএ বিষয়ে নুরুজ্জামান লিটন জানান, শার্শার গণমানুষের চাওয়ার কারণে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়েছিলেন। তাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছেন এজন্য দলের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান। এ ছাড়া কৃতজ্ঞতা জানান শার্শাবাসীর কাছে।তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে বিএনপির হাতকে শক্তিশালি ও দেশ-মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘চূড়ান্ত মনোনয়নের খবর জেনে রাতেই তিনি মফিকুল হাসান তৃপ্তির বাসায় যান। দেখা করে দোয়া নেন শার্শা আসনে বিএনপির  মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য নেতাদের কাছ থেকে। বর্তমানে তিনি ঢাকাতে অবস্থান করছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবাসন জনসভায় অংশ নিতে। নির্বাচনী এলাকায় ফিরে তিনি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আবারও দলের প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন।’এ দিকে মনোনয়ন পরিবর্তনের বিষয়ে মন্তব্য নিতে মফিকুল হাসান তৃপ্তির সঙ্গে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিলজানা যায়, গত এক মাস ধরে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়নের দাবিতে তৃপ্তির বিরোধিতা করে শার্শাতে বিক্ষোভ করে আসছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান জহীর, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন, দলটির প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধুর সমর্থকরা। প্রার্থিতা বাতিলের দাবিতে একাট্টা হয়ে এক টেবিলে বসেন এই তিন মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাদের দাবি ছিলো তাদের মধ্যে যে কোনো একজনকে মনোনয়ন দেয়া হোক।  তাদের অভিযোগ ছিল বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ আমলে তৃণমূলসহ অনেকেই নির্যাতিত হয়েছে। এসব তৃণমূলকে মূল্যায়িত করা হয়নি। মফিকুল হাসান তৃপ্তি দলের দুঃসময়ে এলাকায় আসেননি। নেতাকর্মীদের খবর রাখেননি। তাই এ মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি তোলেন তারা।অবশেষে দল সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বিবেচনায় নিয়ে নুরুজ্জামান লিটনকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়। নির্বাচনী টিকিটপ্রাপ্তির সময়ে নুরুজ্জামান লিটনের সঙ্গে ছিলেন,উপজেলা বিএনপি প্রধান উপদেষ্টা খায়রুজ্জামান মধু ও সভাপতি আবুল হাসান জহীর।