লন্ডনের দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার মুহূর্তে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন দৃশ্যের সাক্ষী ছিলেন উপস্থিত মানুষ যা সহজে ভোলা যাবে না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের পথ ধরে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছিলেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সদস্যরা। এক রঙের পাঞ্জাবি ও শাড়ি পরা শিল্পীরা উপস্থিতি তৈরি করেছিলেন এক উৎসবমুখর আবহ। যেন পুরো পরিবেশটাই হয়ে উঠেছিল আনন্দ ও উচ্ছ্বাসের মেলবন্ধন।আরও পড়ুনতার মনের নেক আশাগুলো আল্লাহ পূর্ণ করুন: কনকচাঁপা আজ যা ঘটছে ইতিহাসে চিরদিন লেখা থাকবে : বান্নাহ জাসাসের সঙ্গে ছিলেন ইথুন বাবু, সাজ্জাদ হোসেন পলাশ, গামছা পলাশ, পরান এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। তাদের উপস্থিতি শুধু স্বাগত জানানোর জন্যই নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র ও নেতার নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া ও প্রার্থনার মাধ্যমে এক অনন্য আবেগ তৈরি করেছিল। এই দোয়া মাহফিলে তারা বিশেষভাবে প্রার্থনা করেছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, তার পরিবার এবং গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। সেখানে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা ব্যস্ত ছিলেন হাততালি ও উল্লাসে, সেখানে জাসাসের শিল্পীরা নিজেদের সাংস্কৃতিক উপস্থিতির মাধ্যমে মুহূর্তটিকে আরও স্মরণীয় করে তুলেছিলেন। সংগীত, অভিব্যক্তি ও ঐক্যের এই মেলবন্ধন পুরো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। ইথুন বাবু বলেন, ‘আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। আপনারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য দোয়া করবেন, তার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার জন্যও দয়া করবেন।’ উপস্থিত সকলেই এই প্রার্থনায় মিশে এক আবেগঘন পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন। আজকের এই দৃশ্য শুধু একজন নেতার দেশে প্রত্যাবর্তনের আনন্দই তুলে ধরেনি, বরং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মিলনের এক উদাহরণ হয়ে থাকবে। উপস্থিত মানুষের উচ্ছ্বাস, জাসাসের সাংস্কৃতিক আবহ এবং দোয়া-মাহফিলের একত্রিত আবহ এক ইতিহাস রচনা করল যা চিরদিনের জন্য স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে। এলআইএ