সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাইয়ের মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতাররা হলেন: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর সানাপাড়ার মৃত ইমান আলীর ছেলে রহমত (৪৩), একই গ্রামের মো. ফয়েজ আলীর ছেলে মো. আশিকুজ্জামান (২৫) এবং মো. জিহাদ আলীর ছেলে মো. ইমদাদুল ইসলাম (২৭)। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. মাসুদুর রহমান জানান, আসামিরা সাতক্ষীরা সদরের নেহালপুর এলাকার হাজীখালী গেট হতে শালিখাডাঙ্গা পর্যন্ত নদীর বাম ও ডান তীর থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু সংগ্রহ করছিল। পরে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলীর নিয়োজিত প্রতিনিধিকে ঘটনাস্থলে পাঠালে আসামিরা তাকে হুমকি-ধামকি দেয়। বিষয়টি বাদী (লিয়াকত আলী) তাৎক্ষণিকভাবে ব্রহ্মরাজপুর ক্যাম্প ইনচার্জকে মৌখিকভাবে জানান। অভিযোগ পেয়ে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা গতকাল বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় তারা মাটিভর্তি একটি ট্রলিসহ আসামি কেসমত আলীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসেন। এ খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অন্য আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে বেআইনিভাবে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। তারা সেখান থেকে মাটির ট্রলি ও আটক আসামি কেসমত আলীকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আরও পড়ুন: পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, আহত ২ এ ঘটনায় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. লিয়াকত আলী বাদী হয়ে গ্রেফতার তিনজনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করেন। ওসি মুহা. মাসুদুর রহমান আরও জানান, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) এসআই মো. সাইদুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মামলার এজাহারনামীয় ৮ জন আসামির মধ্যে প্রধান তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।