দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে সবাইকে নিয়ে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ‘৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে’ (পূর্বাচল ৩০০ ফিট) সংলগ্ন এলাকায় আয়োজিত এক বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যা একজন মা দেখেন। অর্থাৎ, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে এবং নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে।’তিনি বলেন, ‘দেশ পুনর্গঠনে আমার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে। এ দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সেই প্ল্যান আমি বাস্তবায়ন করব।’এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘ সময় পর প্রিয় মাতৃভূমিতে পা রেখে তিনি আবেগপ্লুত হয়ে পড়েন। বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই তিনি মাটির ওপর বসে পড়েন এবং দু-হাত দিয়ে মাতৃভূমির মাটি ছুঁয়ে দেখেন। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও উপস্থিত শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলিঙ্গন ও কুশল বিনিময় করেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন তাঁর শাশুড়ি, স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।বিশাল গণসংবর্ধনা বিমানবন্দর থেকে ‘বাংলাদেশ’ লেখা একটি লাল-সবুজ বুলেটপ্রুফ বাসে চড়ে তারেক রহমান সরাসরি গণসংবর্ধনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হন। বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে তিনি সভামঞ্চে পৌঁছালে লাখো নেতাকর্মী গগনবিদারী স্লোগানে তাকে অভিনন্দন জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর ৩টা ৫৮ মিনিটে তারেক রহমান তাঁর বহুল প্রতিক্ষীত বক্তব্য শুরু করেন।৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় আয়োজিত এই গণসংবর্ধনায় মানুষের ঢল নামে। নেতাকর্মীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। বক্তৃতার শেষ পর্যায়ে তারেক রহমান দলমত নির্বিশেষে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।