মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অনুশীলন বয়কট নোয়াখালীর কোচিং স্টাফদের

মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে অনুশীলন বয়কট করলেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা দায়িত্ব ছাড়ার হুঙ্কারও দিয়েছেন।বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসরের পর্দা উঠতে ২৪ ঘণ্টাও বাকি নেই। তার আগেই শুরু হয়েছে নানা নাটকীয়তা। পরিবর্তন হয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা। এবার অনিশ্চয়তা পড়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেসও। মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে অনুশীলন বয়কট করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির  প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের। মাঠ ছাড়ার সময় সাংবাদিকরা ‘কোথায় যাচ্ছেন’ জানতে চাইলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুজন। সহকারি কোচকে নিয়েই সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় চড়ে বসেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই বিপিএল করব না।’ পরে খালেদ মাহমুদ এটাও জানান, বিপিএলে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের কোচের দায়িত্বে থাকতে চান না। আরও পড়ুন: আইএল টি-টোয়েন্টি অভিযান শেষে দেশে ফিরেছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ মাঠ ছাড়ার সময় নোয়াখালীর কয়েকজন কর্মকর্তা তাকে বিভিন্ন কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সুজন এটাও জানান, এবারের বিপিএলে নোয়াখালীর কোচের দায়িত্বে থাকতে চান না। মূলত ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং টিম ম্যানেজমেন্টের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই অনুশীলন বয়কট করেছেন তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিরুদ্ধে তিনি অপেশাদারিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। মাঠ ছাড়ার সময় পর্যাপ্ত বল না দেওয়ার ক্ষোভ ফুটে উঠে সুজনের কণ্ঠে। অনুশীলনের জন্য  মাত্র তিনটা বল দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। সুজন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, জার্সিটাও তার নিজ দায়িত্বে বানাতে হয়েছে। সুজনদের মাঠ ছাড়ার পর খেলোয়াড়রা পড়ে গিয়েছে দ্বিধায়। আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে সিলেট শিবিরে আফগান হার্ডহিটা বিপিএলের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামে মুখোমুখি হবে নোয়াখালী। কিন্তু এমন পরিস্থিতি তারা কীভাবে মাঠে নামবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। বিসিবি ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে, এবার সমস্যা তৈরি হলো নোয়াখালীকে নিয়ে।