বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান। তিনি বলেন, মার্টিন লুথার কিংয়ের একটি বিখ্যাত উক্তি আছে- আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম। তার সেই উক্তিকে অনুসরণ করে বলতে চাই, আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষকে নিয়ে বিএনপি এবং আমার পরিকল্পনা আছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় গণসংবর্ধনা মঞ্চে তিনি এই মন্তব্য করেন। তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ, শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সবার জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চাই। এসময় তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে হবে। কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য। যদি সেই প্ল্যান, সেই কার্যক্রম, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হয় প্রত্যেকের সহযোগিতা আমার লাগবে। তারেক রহমান বলেন, ৭১ সালে আমাদের শহীদরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এ রকম একটি বাংলাদেশ গঠনের জন্য। বিগত ১৫ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে হাজারো গুম-খুনের শিকার হয়েছে শুধু রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়, নিরীহ মানুষও প্রতিবাদ করতে গিয়ে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জীবন দিয়েছেন। ২০২৪ সাল মাত্র সেদিনের ঘটনা। আমরা দেখেছি আমাদের তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা কীভাবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে দেশের এই স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে এই বাংলাদেশের ২৪-এর আন্দোলনের এক সাহসী প্রজন্মের এক সাহসী সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন। ওসমান হাদি চেয়েছিল এ দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক, এ দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক এবং অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। আজ ২৪-এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, ওসমান হাদিসহ ৭১-এ যারা শহীদ হয়েছেন, বিগত স্বৈরাচারের সময় বিভিন্নভাবে গুম-খুনের শিকার হয়েছেন—এই মানুষগুলোর রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলবো যেখানে আমরা সবাই মিলে কাজ করবো, যেখানে আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলবো। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন আধিপত্যবাদ শক্তির গুপ্তচররা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে এখন লিপ্ত রয়েছে। আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের যে সদস্যরা আছেন, তোমরাই আগামী দিন দেশকে নেতৃত্ব দেবে, দেশকে গড়ে তুলবে। এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের সদস্যদেরকেই আজ গ্রহণ করতে হবে যাতে করে দেশকে আমরা সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে পারি; শক্ত ভিত্তির ওপর, গণতান্ত্রিক ভিত্তির ওপর, শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর যাতে এই দেশকে আমরা গড়ে তুলতে পারি। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আজ মঞ্চে এখানে বহু জাতীয় নেতৃবৃন্দ বসে আছেন। আসুন আজ আমরা দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, আল্লাহর রহমত আমরা চাই। যেসব জাতীয় নেতা এই মঞ্চে আছেন, মঞ্চের বাইরে যেসব জাতীয় আরও নেতা আছেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশিত সেই বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমাদের যে কোনো মূল্যে, যে কোনো মূল্যে আমাদের এ দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। যে কোনো উসকানির মুখে আমাদের ধীর-শান্ত থাকতে হবে। প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা দেশে শান্তি চাই, আমরা দেশে শান্তি চাই, আমরা দেশে শান্তি চাই।’ এমওএস/এমআইএইচএস/জেআইএম