অভিমান ভেঙে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের অনুশীলনে ফিরলেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। বয়কট করা প্রসঙ্গে তিনি জানান, পুরো ঘটনাটি মূলত ভুল বোঝাবুঝি থেকে সৃষ্টি হয়েছে এবং তা ছিল মুহূর্তের রাগের বহিঃপ্রকাশ।বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর আগের দিনই নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজি নোয়াখালীর ডেরায় নাটকীয় পরিস্থিতি। মালিক পক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অনুশীলন বয়কট করে মাঠ ছেড়েছিলেন প্রধান কোচ সুজন ও সহকারী কোচ তালহা জুবায়ের। তবে তাদের সে দ্বন্দ্ব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুই কোচই ফিরে এসেছেন নোয়াখালী শিবিরে। ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমনটা হয়েছে। একজন লোক দলের সঙ্গে থাকার কথা না, অথচ সে খারাপ ব্যবহার করেছে। সে কারণেই হিট অব দ্য মোমেন্টে রাগ করে চলে গিয়েছিলাম।’ তিনি জানান, বিষয়টি এখন পরিষ্কার হয়েছে এবং মালিকপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ওই ব্যক্তিকে দল থেকে সরিয়ে দিয়েছে। নোয়াখালীর প্রধান কোচ আরও বলেন, ‘যা হয়েছে, সবই ভুল বোঝাবুঝি। টুর্নামেন্টের আগে এটা হয়ে যাওয়াই ভালো হয়েছে।’ আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম রয়্যালস মালিকানা ছাড়ার পর দায়িত্ব নিলো বিসিবি একই সঙ্গে মালিকপক্ষের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষ আমাদের ভালো সাপোর্ট দিচ্ছে।’ এদিকে নোয়াখালী শিবিরে ঝামেলা হওয়ার আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে নিয়ে বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর্থিক সমস্যা দেখিয়ে হুট করে ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা ছেড়ে দেয় ট্রায়াঙ্গুল সার্ভিসেস। অনিশ্চয়তার মাঝে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় বিসিবি। আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে সিলেট শিবিরে আফগান হার্ডহিটার সুজনের মতে, বিসিবি দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে যাওয়ায় এসব সমস্যা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে বিসিবি কিছুটা রাশ করে ফেলেছে।’ তবে সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সমস্যার সমাধান হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের প্রধান কোচ।