তারেক রহমানের ফেরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মুহূর্তগুলোর একটি: কুগেলম্যান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, তারেক রহমান, সম্ভবত বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৭ বছর নির্বাসিত থাকার পর দেশে ফিরেছেন।বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান। মাইকেল কুগেলম্যান প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি। এটি তার (তারেক রহমান) ভিত্তির সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন এবং বাংলাদেশের রাজনীতির বারুদের স্তূপ থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষমতারও একটি পরীক্ষা। আরও পড়ুন: রাজধানী ছাড়ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রায় ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশে ফেরেন তারেক রহমান। তাকে গণসংবর্ধনা দিতে পূর্বাচলে ৩০০ ফিট এলাকায় গণসংবর্ধনা মঞ্চ তৈরি করা হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাসে করে সে মঞ্চের উদ্দেশে রওনা করেন তারেক রহমান। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে গণসংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান তিনি। এর আগে সকালে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-কন্যাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করে। সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে যাত্রাবিরতির পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করে। বিমানবন্দরে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এসময় তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশলবিনিময় করেন এবং উপস্থিত সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দর থেকে বের হন তিনি। এরপর বিমানবন্দরের সামনে জুতা খুলে খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করেন তারেক রহমান।