নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে নকল স্ট্যাম্প তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে কোটি টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে কারখানাটিতে কর্মরত দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের পেছনে ভান্ডারী হোটেল সংলগ্ন একটি বাড়িতে পরিচালিত নকল স্ট্যাম্প কারখানায় এই অভিযান চালানো হয়।সন্ধ্যায় সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক।আটককৃতরা হলেন- ফরিদপুর জেলার আলম খানের ছেলে মিন্টু খান (৩৮) ও একই জেলার কামাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মুন্না ইসলাম (২১)।পুলিশ জানায়, মৌচাক বাসস্ট্যান্ডের পেছনে ভান্ডারী হোটেল সংলগ্ন মৃত এমাদ হাজীর বাড়িতে দুইটি রুম ভাড়া নিয়ে এর আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে নকল স্ট্যাম্প তৈরির কারখানা পরিচালনা করছেন সবুজ ওরফে মোতাহার নামে এক ব্যক্তি। সেখানে নকল নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প ছাপানো হতো। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি ও সরবরাহ করা হতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ প্রতারণার খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকেলে কারখানাটিতে অভিযান চালায়। এসময় সেখানে তল্লাশি করে নকল স্ট্যাম্প তৈরির দুইটি মেশিন ও কোটি টাকা মূল্যের স্ট্যাম্প জব্দ করে।আরও পড়ুন: ৯৯৯ নম্বরে ফোনকলে কবর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারএ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক সময় সংবাদকে বলেন, দুটি রুম ভাড়া নিয়ে পরিচালিত অবৈধ কারখানাটিতে দুইটি মেশিনের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব খাতের রেভিনিউ ও স্ট্যাম্প নকল করে তৈরি করা হতো। আমরা কারখানাটিতে তল্লাশি করে নকল স্ট্যাম্প তৈরির দুইটি মেশিনসহ ৫০০ টাকার মূল্যের পর্যন্ত রেভিনিউ সিল এবং ১০, ৫০ ও ১০০ টাকা মানের আনুমানিক কোটি টাকার বেশি নকল স্ট্যাম্প পেয়েছি। স্ট্যাম্প গুলোর মূল্য গণনা চলছে। গণনা শেষে মূল্য আরও বেশি হতে পারে। তবে কমপক্ষে এক কোটি টাকার বেশি মূল্যের নকল স্ট্যাম্প আমরা জব্দ করেছি। এ সময় কারখানাটিতে নকল স্ট্যাম্প তৈরির কাজে নিয়োজিত দুইজনকে আটক করা হয়েছে।ওসি আরও বলেন, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ধারণা করছি আনুমানিক ছয় থেকে সাত মাস ধরে নকল স্ট্যাম্প কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছে। কারখানার মালিক সবুজ ওরফে মোতাহারকে আমরা গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। এছাড়া এই অবৈধ কাজের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে সে ব্যাপারেও আমাদের তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় মামলা সহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।