অনুশীলনে বল কম ছিল, তাই রাগে ক্ষোভে প্র্যাকটিস বাদ দিয়ে টিম বাস বাদ দিয়ে সিএনজিতে চড়ে মাঠ ছেড়ে চলে যান খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রথমে শোনা গিয়েছিল এমনটাই। পরে অবশ্য নোয়াখালী এক্সপ্রেস মালিক পক্ষ ঘটনা মিটিয়ে ফেলেছেন। খোদ দলের মূল মালিক খালেদ মাহমুদ সুজনকে ফোন করে পুরো ব্যাপারটার সুরাহা করেছেন। তার কথায় সন্তুষ্ট নোয়াখালীর হেড কোচ সুজন। তার রাগ, ক্ষোভ কেটে গেছে। সব অভিমান ভুলে আবার ফিরেছেন অনুশীলনে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, শুধু কি অনুশীলনে বল কম পাওয়াতেই মেজাজ হারান সুজন? নাকি অন্য ঘটনাও আছে? খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনা একটু অন্যরকম। নোয়াখালী কোচ সুজনের বিগড়ে যাওয়ার কারণ ভিন্ন। আসলে বল না, সুজনের মন খারাপ আর বিগড়ে যাওয়ার পেছনে আছেন একজন। তার নাম ইমরান হাসান। তিনি নোয়াখালী দলের অপারেশন্স ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। তার সাথেই বচসা হয়েছে সুজনের। জানা গেছে, বিসিবি অ্যালেক্স মার্শালের নেতৃত্বে যে ইন্টিগ্রিটি কমিটি করা হয়েছে, সেই কমিটির নজরদারিতে আছেন ইমরান হাসান। শুধু নজরদারিই নয়, রীতিমত ইন্টিগ্রিটি কমিটির আপত্তির মুখে আছেন ইমরান হাসান। সেই ব্যক্তিই খালেদ মাহমুদ সুজনের সাথে বচসায় লিপ্ত হন এবং দুর্ব্যবহার করেন। বিপিএলের আগের আসরে ঢাকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ইমরান। তার আগেরবার ইমরানের দল ছিল চট্টগ্রাম। এবার তাকে নোয়াখালীর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছিল। সুজন স্বীকার করেন, তার (ইমরানের) সাথেই সমস্যা বেঁধেছে। এ সম্পর্কে সুজন জানান, ‘আসলে আমার মেজাজটা খারাপ ছিল, যখন ওই প্রান্ত থেকে আমাকে বলছে যে প্র্যাকটিসে বল নাই। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ভাই এগুলো কার আন্ডারে? এগুলো তো কোচিং টাইম না। এটা নিয়েই আরকি একটা মিসআন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছে আমার সাথে। তো হিট অফ দ্য মোমেন্ট হয়তোবা আমার রাগ উঠে গেছিল, সত্যি কথা বলতে গেলে এই জন্য।’ সুজন বলেন, ‘এখন আসলে টিমের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়েছে কিনা, এক নম্বর কথা। আমার মনে হয় চেয়ারম্যান যেহেতু এখানে আছেন, তিনি এটার উত্তর ভালো দিতে পারবেন।’ সর্বশেষ খবর, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইমরানকে সরিয়ে দিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। এআরবি/এমএমআর