জাতীয় স্মৃতিসৌধে আজ মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ উপলক্ষ্যে স্মৃতিসৌধে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাও।১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরার পরদিন শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর গুলশানের বাসভবন থেকে প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। সেখান থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ উপলক্ষে এরই মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুমার নামাজের পরে জাতীয় স্মৃতিশোধে বিশ্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেই উপলক্ষে গণপূর্ত অধিদফতর স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ সম্পন্ন করেছে। আরও পড়ুন: আমরা দেশের শান্তি চাই : তারেক রহমান তারেক রহমানের আগম উপলক্ষ্যে সাভারে উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য শুক্রবার থেকে স্মৃতিসৌধগামী মহাসড়কে অবস্থান নেয়ার কথা জানান তারা। এদিকে, তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তায় যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে। শুক্রবার সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের গণজমায়েতের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ একপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে বিকেলে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি তুলে ধরেন এক নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চিত্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।