ঢাকা-১৪: তারুণ্যবান্ধব জনপ্রতিনিধি চায় বাসিন্দারা

ঢাকা-১৪ আসন রাজধানীর প্রবেশদ্বার হলেও দুর্ভোগই যেন নিত্যসঙ্গী। যানজট, গ্যাস, মাদকসহ নানা সংকটে এই এলাকার বাসিন্দারা। এ আসনে বিএনপির টিকিট পেয়েছেন সানজিদা ইসলাম তুলি। আর জামায়েতের কাণ্ডারি ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম আরমান। গুমের শিকার দুই প্রার্থীর মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে মনে করেন অনেক ভোটার। তরুণদের প্রত্যাশা, নির্বাচনের পরও যেন দেখা মেলে জনপ্রতিনিধির। শুধু আশ্বাস নয়, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা আর বাস্তব উন্নয়নই চাওয়া এলাকাবাসীর।ঢাকা উত্তর সিটির ৭ থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড এবং সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ও বনগাঁও ইউনিয়ন নিয়েই গঠিত ঢাকা-১৪ আসন।ক্ষুদ্র ব্যবসা, পরিবহন, গার্মেন্টস, সরকারি-বেসরকারি চাকরি এবং দিনমজুরির ওপর নির্ভরশীল এই আসনের সাধারণ মানুষ। রাজধানীর প্রবেশদ্বার হিসেবে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ আসন।সড়কে যানজট, ফুটপাতে হকার, শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের ব্যস্ততা আর আবাসিক এলাকার মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনসংগ্রামই যেন এই এলাকার প্রতিদিনের চিত্র।ভোটাররা বলছেন, এই আসনের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদকের ভয়াবহতা, যানজট ও ভেঙে পড়া খেলাধুলার অবকাঠামো। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তরুণ সমাজে। তাদের প্রত্যাশা, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারুণ্যবান্ধব প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন।আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে লড়বেন জামায়াতের সোহেলএই আসনে আলোচনার কেন্দ্রে বিএনপির সানজিদা ইসলাম তুলি এবং জামায়াতের ব্যারিস্টার আরমান। নির্বাচনকে সামনে রেখে জামায়াতের কাণ্ডারি ভোটারদের আস্থা দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।জামায়াতের প্রার্থী ব্যারিস্টার আরমান বলেন, ‘জনগণের প্রতি আমাদের ওয়াদা, আমরা চাঁদাবাজি নির্মূল করবো। মাদক ব্যবসা চলতে দেয়া হবে না। এবং দুর্নীতি রোদ করে মানুষের যা চাহিদা তা তাদের দুয়ারে পৌঁছে দিবো ইনশাআল্লাহ।’এই আসনে ভোটারদের সংখ্যা প্রায় চার লাখ। এরমধ্যে নারী ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা প্রায় সমান।