মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বহিষ্কারাদেশে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

মালয়েশিয়ায় একটি গ্লাভস মোল্ড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে বড় সাফল্য পেয়েছেন প্রায় ১০০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির হাইকোর্ট জোরপূর্বক বহিষ্কার ও দেশে ফেরত পাঠানোর ওপর অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারক তুয়ান হালদার আব্দুল আজিজ ‘মেডিসেরাম এসডিএন বিএইচডি’ নামের প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এই এক্স-পার্টি ইনজাংশন জারি করেন। ফলে শিল্প আদালত ও দেওয়ানি আদালতে চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো বা বহিষ্কার করা যাবে না। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, অবিলম্বে ৯৩ জন শ্রমিকের পাসপোর্ট ও অন্যান্য ব্যক্তিগত নথিপত্র ফেরত দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদের ওয়ার্ক পারমিট বা সাময়িক কর্মসংস্থান ভিজিট পাস বাতিলসহ কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না কোম্পানি। আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ গত ২২ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলার আবেদনে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মালয়েশিয়ায় পৌঁছানোর পরপরই নিয়োগকর্তা তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেন। এরপর কর্মস্থলে অমানবিক আচরণ ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ জানাতে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে অংশ নেন তারা। এর জেরে অনেক শ্রমিককে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। বর্তমানে শ্রমিকরা হারানো মজুরি, সাধারণ ক্ষতিপূরণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ‘মেডিসেরাম’। কোম্পানির দাবি, শ্রমিকদের অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে চালানো একটি ‘কলঙ্কজনক প্রচারণা’। শ্রমিকদের পক্ষে আদালতে শুনানি পরিচালনা করেন আইনজীবী লুই লিয়াও ও ইরদিনা আজিরা এজলিজাম। আগামী ৭ জানুয়ারি উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে মামলার পরবর্তী আন্তঃপক্ষীয় পর্যালোচনা শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।