দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।প্রায় দেড় যুগ পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার একদিন পর শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে গুলশানের বাসভবন থেকে প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাবার (জিয়াউর রহমান) কবর জিয়ারত করলেন।এর আগে ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বাবা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন দলটির তৎকালীন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার কবর জিয়ারতের পর তিনি লাল-সবুজ রঙের বুলেট প্রুফ বাসে করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পথে রওনা করছেন। ইতোমধ্যে স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ভিড় করছেন।তারেক রহমানের নিরাপত্তার স্বার্থে জিয়া উদ্যান ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধসহ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও রয়েছেন স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘিরে।তিনি সেখান থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ উপলক্ষে এরই মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।আরও পড়ুন: তারেক জিয়ার আগমন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে ভিড় করছেন নেতাকর্মীরাসাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন খান আনু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুমার নামাজের পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেই উপলক্ষে গণপূর্ত অধিদফতর স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের কাজ সম্পন্ন করেছে।তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে সাভারে উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেছেন। প্রিয় নেতাকে দেখার জন্য শুক্রবার থেকে স্মৃতিসৌধগামী মহাসড়কে অবস্থান নেয়ার কথা জানান তারা।এদিকে তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তায় যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে, সেজন্য নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করা হচ্ছে।আরও পড়ুন: তারেক রহমানের নিরাপত্তায় জিয়া উদ্যান ও স্মৃতিসৌধের আশপাশে বিজিবি মোতায়েন শুক্রবার সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষের গণজমায়েতের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ একপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকায় অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী জনসমুদ্রে পরিণত হয়। পরে বিকেলে রাজধানীর ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় তিনি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি তুলে ধরেন এক নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের চিত্র, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।