দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যশোরে, হাড়কাঁপানো শীতে স্থবির জনজীবন

যশোরে জেঁকে বসেছে মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে শীত আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) যশোরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার যশোরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এদিনের দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও গত কয়েকদিন ধরেই কুয়াশা ও উত্তরের বাতাসে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে, তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের লালদীঘি পাড়ে প্রতিদিন কয়েকশ’ শ্রমিক কাজের সন্ধানে জড়ো হলেও শীতের কারণে কাজ মিলছে না অনেকেরই। বাহাদুরপুর এলাকার রফিকুল ইসলাম বললেন, শীতে একদিন কাজ পাই তো, তিনদিন পাই না। গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছে না। শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক জোহর আলী বলেন, শীতে রিকশা চালাতে গিয়ে হাত-পা জমে যাচ্ছে। ব্রেকও ঠিকমতো ধরা যাচ্ছে না। আর বাসাতে মনে হচ্ছে গায়ে সুঁচ ফোটাচ্ছে। খড়কি এলাকার রিকশাচালক ইসলাম হোসেন বলেন, গত তিন-চারদিন যে পরিমাণ শীত পড়ছে; তাতে বাইরে রিকশা চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রিকশা না চালালে ভাত জুটবে না, তাই বাধ্য হয়ে পথে নামতে হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়ামের মধ্যে নেমে আসলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়ামের মধ্যে নেমে আসলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়ামের মধ্যে নেমে আসলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়ামের নিচে নেমে গেলে তাকের অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। মিলন রহমান/কেএইচকে/এএসএম