জুমার নামাজ শেষে সিরিয়ার মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৬

সিরিয়ার হোমস প্রদেশের একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে তদন্ত কাজ শুরু করেছে সিরিয়ার নিরাপত্তাবাহিনী। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পরপরই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা)।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোমস শহরের ওয়াদি আল-দাহাব এলাকায় অবস্থিত ইমাম আলী বিন আবি তালিব মসজিদে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী হামলাকারী অথবা মসজিদের ভেতরে আগে থেকে রাখা বিস্ফোরকের মাধ্যমে ঘটানো হতে পারে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা যখন মসজিদ ত্যাগ করছিলেন তখনই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণটি মসজিদের নামাজ পড়ার মূল কক্ষে ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে দেয়ালের একটি অংশে ছোট গর্ত তৈরি হয় এবং চারপাশে আগুনে পোড়া দাগ, ধ্বংসাবশেষ, বইপত্র ও বিস্ফোরণের টুকরো দেখা যায়। আল জাজিরার যাচাইকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত মানুষজন মসজিদ থেকে ছুটে বেরিয়ে আসছেন। আহতদের কেউ স্ট্রেচারে, আবার কাউকে চাদর বা পোশাকে মুড়িয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে চরম বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আল জাজিরার আলেপ্পো প্রতিনিধি আইমান ওঘান্না জানিয়েছেন, হোমস শহরে আলাউই, খ্রিষ্টান ও সুন্নি মুসলিমসহ নানা ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। হামলাটি একটি আলাউই মসজিদকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে যা দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সিরিয়ায় আইএসআইএল (আইএস)-এর তৎপরতা বেড়েছে। এরই মধ্যে সরকার আলেপ্পোর কাছে অভিযান চালিয়ে আইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গত সপ্তাহে দুই মার্কিন সেনা ও এক বেসামরিক দোভাষী হত্যার প্রতিশোধে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় আইএসের অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া গত নভেম্বর মাসে জঙ্গি নির্মূলের অঙ্গীকার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক আইএসবিরোধী জোটে যোগ দিয়েছে সিরিয়া। কেএম