নানা সমালোচনা সঙ্গী করে মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট টাইটান্স ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়ায় এবারের আসর। তবে উদ্বোধনী ম্যাচেই দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকান নাজমুল হোসেন শান্ত। আরেক প্রান্তে থাকা মুশফিকুর রহিম করেছেন হাফ-সেঞ্চুরি।সিলেটের উইকেটে প্রথম ম্যাচেই চার-ছক্কার ফুলঝুঁড়ি, আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট টাইটান্স। জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক শান্ত’র সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। আরও পড়ুন: শান্তর সেঞ্চুরি আর মুশফিকের ফিফটিতে বড় জয়ে আসর শুরু রাজশাহীর জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও শাহিবজাদা ফারহান। স্কোরবোর্ডে ১৯ রান যোগ হতেই বিদায় নেন তানজিদ। ৮ বলে ১০ রান করে খালেদের বলে হজরতউল্লাহ জাজাই-এর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি। দলীয় ৬২ রানের মাথায় ফেরেন শাহিবজাদা, তার ব্যাট থেকে আসে ১৯ বলে ২০ রান। ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শাহিবজাদা ফিরলে শান্ত’র সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। আরও পড়ুন: বিপিএলের উদ্বোধনীতে কেন ট্রফি দেখানো হয়নি? সময় গড়ানোর সাথে সাথে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন শান্ত। প্রতিপক্ষ বোলারদের একাই শাসন করতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ৬০ বলে ৫ ছক্কা ও ১০টি চারে সাজানো তার ইনিংসটি। আরেক প্রান্তে থাকা মুশফিকুর রহিম অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৫১ রান করে। বিপিএলে এটি শান্ত’র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ২০২০ সালে খুলনা টাইগার্সের হয়ে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন শান্ত। খুলনায় হয়ে সেই আসরে অপরাজিত ১১৫ রান করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।