খুলনার ৬টি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন যারা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। সবশেষ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) খুলনা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন জিয়াউর রহমান পাপুল। এ নিয়ে জেলার ৬টি আসনে সব মিলিয়ে ৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন।কোনো কোনা আসনে বিএনপির নামে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন, আবার কোথাও বিএনপি নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এসব প্রার্থীরা জানিয়েছেন তাদের হয়ে সমর্থকরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আবারও পরিবর্তন আসতে পারে এমন আশাও করছেন তারা।এসব প্রার্থীর ভিড়ে এখনও কোনো আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেননি জাতীয় নাগরিক পার্টির কেউ। এনসিপি নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।খুলনার ৬টি আসনের মধ্যে সবথেকে বেশি মনোনয়ন সংগ্রহ করা হয়েছে মহানগরের দৌলতপুর ও খালিশপুর থানা এলাকা নিয়ে গঠিত খুলনা-৩ আসন থেকে। এই আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। এছাড়া খুলনা ১ আসন থেকে ৭ জন, খুলনা ২ আসন থেকে ৫ জন, খুলনা ৪ আসন থেকে ৬ জন, খুলনা ৫ আসন থেকে ৬ জন এবং খুলনা-৬ আসন থেকে ৩ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।দাকোপ ও বটিয়াঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা ১ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মোট ৭ জন। এরা হলেন জামায়াত ইসলামীর কৃষ্ণ নন্দী, বিএনপির আমীর এজাজ খান, ইসলামী ফ্রন্টের সুনীল শুভ রায়, জাতীয় পার্টির মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিপিবির কিশোর কুমার রায় এবং স্বতন্ত্র গোবিন্দ হালদার ও জিয়াউর রহমান পাপুল।আরও পড়ুন: তফসিলের পরও কিছু রাজনৈতিক দল বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে: গোলাম পরওয়ারখুলনা মহানগরের সদর ও সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা নিয়ে গঠিত খুলনা ২ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মোট ৫ জন। এরা হলেন জামায়াত ইসলামীর শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও মো. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতী আমান উল্লাহ ও খেলাফত মজলিসের মো. শহীদুল ইসলাম। এই আসনে বিএনপির হয়ে দু’জন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে।খুলনা -৩ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মোট ১২ জন। এরা হলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শেখ আরমান হোসেন, বিএনপির রকিবুল ইসলাম বকুল, জামায়াত ইসলামীর মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল, খেলাফত মজলিসের এফএম হারুন অর রশীদ, সমাজতান্ত্রিক দলের জনার্দন দত্ত, জাতীয় পার্টির আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং স্বতন্ত্র আব্দুর রউফ মোল্লা, মো. আবুল হাসনাত সিদ্দিক, মো. আল ফাহাদ, মঈন মোহাম্মদ মায়াজ ও মো: মুরাদ খান লিটন।রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা ৪ আসন থেকে এখনও পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন মোট ৬ জন। এরা হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, জামায়াত ইসলামীর মো. কবিরুল ইসলাম, বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল, খেলাফত মজলিসের এসএম শাখাওয়াত হোসেন, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবুল কাশেম, ও সতন্ত্র এএসএম আজমল হোসেন।ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা ৫ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন মোট ৬ জন। এরা হলেন জামায়াত ইসলামীর মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির আলী আসগর লবী, শফি মোহাম্মদ খান ও মো: মোশাররফ হোসেন, সিপিবির চিত্ত রঞ্জন গোলদার ও জাতীয় পার্টির শামীম আরা পারভীন।কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা ৬ আসন থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৩ জন। এরা হলেন বিএনপির মনিরুল হাসান বাপ্পী, জামায়াত ইসলামীর আবুল কালাম আজাদ ও স্বতন্ত্র মো. আসাদুল বিশ্বাস।শুক্রবার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা জিয়াউর রহমান পাপুল খুলনা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তবে দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় সাবেক জেলা সভাপতি আমীর এজাজ খানকে। জিয়াউর রহমান পাপুল বলেন, ‘আমার সমর্থকরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার আছে। দলও এখনও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে বলে আমার আশা।’জাতীয় নাগরিক পার্টির খুলনার মুখ্য সমন্বয় মাহমুদ ফায়েজুল্লাহ বলেন, দুয়েকদিনের মধ্যেই দলীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। এরপর আমরা মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করবো।আরও পড়ুন: যশোরের ৬ আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থীসহ ৩১ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহসংশোধন করা তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন সময়সূচি অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।