দুর্নীতি মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ১৫ বছরের কারাদণ্ড

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১এমডিবি দুর্নীতি কেলেঙ্কারির সবচেয়ে বড় মামলায় আরও ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে প্রায় ২৮০ কোটি ডলার জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দেওয়া রায়ে আদালত নাজিবকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থপাচারের সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। এর আগে তিনি ২০২২ সালে একই কেলেঙ্কারির আরেক মামলায় কারাগারে যান। আদালত জানায়, নাজিবের দাবি তিনি অন্যদের প্রতারণার শিকার—এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। বিচারক বলেন, এই যুক্তি মানতে গেলে কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে যেতে হয়। মালয়েশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ১এমডিবি থেকে অন্তত ৪৫০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এর মধ্যে একশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ নাজিবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন হিসাবে গেছে। ৭২ বছর বয়সী নাজিব দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে এই কেলেঙ্কারির ‘বলির পাঁঠা’ বলে দাবি করে আসছেন। এই রায় মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের জোট সরকারে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, নাজিব এখনো ক্ষমতাসীন জোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলের ওপর প্রভাব রাখেন। মালয়েশিয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নেতার সন্তান নাজিব রাজাক ছোটবেলা থেকেই দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তবে নয় বছর ক্ষমতায় থাকার পর আজ তিনি দুর্নীতির দায়ে কারাগারে। বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী নাজিব রাজাক মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ১এমডিবি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত দুর্নীতির আরেক মামলায় ছয় বছরের সাজা ভোগ করছেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বিভিন্ন সরকারের আমলে নাজিব ও তার স্ত্রী রোসমাহ মনসুরের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সূত্র: রয়টার্স এমএসএম