২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য উৎসর্গ করা হবে বলে আশা করছেন ফ্রান্সের সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ফ্রাঙ্ক লেবোউফ। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসরে পর্তুগালকেই ফেবারিট মানছেন সাবেক এই ফুটবলার।এদিকে, কিলিয়ান এমবাপ্পেকে কখনোই জিদানের মতো জনপ্রিয় হতে পারবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন লেবোউফ। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে একটা বিশ্বকাপেরই অভাব ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। যদিও সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফুটবলে তার লিগ্যাসি বিশ্বকাপ জয়ের ওপর নির্ভর করে না বলেও মন্তব্য করেছেন আল-নাসর তারকা। তবে মুখে যাই বলুক না কেন মনে মনে সিআরসেভেন যে বিশ্বকাপ জয়ের অপূর্ণ স্বপ্ন ঠিকই পূরণ করতে চান, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । তাই তো ৪০ বছর বয়সেও চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলের খেলা। আর ক্যারিয়ারের সেই অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ২০২৬ বিশ্বকাপে। ক্যারিয়ারে শেষ সময়ে লিওনেল মেসি যেমন কাতারে বিশ্বকাপ জিতেছেন ঠিক তেমনই যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় আয়োজিত হওয়া বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরবেন রোনালদো। এমনটাই মনে করেন ফ্রান্সের ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ফ্রাঙ্ক লেবোউফ। আসন্ন বিশ্বকাপে পর্তুগালকেই ফেবারিট মানছেন সাবেক এই ফুটবলার। ফ্রাঙ্ক লেবোউফ বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয় একজন ফুটবলারের ক্যারিয়ারের পার্থক্য গড়ে দেয়। রোনালদো দুর্দান্ত ফুটবলার। তার ক্যারিয়ারে একটা বিশ্বকাপের প্রয়োজন। বিষয়টা এমন যে ২০২২ বিশ্বকাপ মেসির জন্য উৎসর্গ করা হয়েছিল। আমি সত্যিই আশা করি ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ রোনালদোর জন্য উৎসর্গ করা হবে। পর্তুগাল দলটা এবার অসাধারণ। আমি আশা করি এবার তাদের বিশ্বকাপ জয়ের সক্ষমতা আছে।’ আরও পড়ুন: ১১৬ কোটি টাকায় সৌদি আরবে বিলাসবহুল ভিলা কিনলেন রোনালদো এদিকে, জিনেদিন জিদানের সঙ্গে এখনই কিলিয়ান এমবাপ্পেকে তুলনা করতে চান না ফ্রান্সের সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী তারকা ফ্রাঙ্ক লেবোউফ। ২০১৮ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের শিরোপা জয়ের পেছনে অন্যতম অবদান রেখেছেন এমবাপ্পে। ২০২২ বিশ্বকাপে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। লেস ব্লুদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল স্কোরারও এমবাপ্পে। তবুও ফ্রান্সের সর্বকালের সেরার দৌড়ে এমবাপ্পেকে অনেক পেছনেই রাখেন ফ্রাঙ্ক লেবোউফ। এমবাপ্পে কখনো জিদানের মতো জনপ্রিয়ও হতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি। সাবেক এ ফরাসি বলেন, ‘জিদান যে উচ্ছতায় আছে সেখানে এমবাপ্পে কখনোই যেতে পারবে না। জিদানের সঙ্গে তার তুলনা হয় না। জিজুর অসাধারণ সামর্থ্য আছে। ২০০৬ সালের ঘটনার পরও তাকে সবাই ভালোবাসে। তবে এমবাপ্পের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। যা অনেকেই পছন্দ করে না।’ আরও পড়ুন: বছরের শেষ ম্যাচে রিয়ালের জয়, রোনালদোর রেকর্ডে ভাগ বসালেন এমবাপ্পে তবে কিলিয়ান এমবাপ্পের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ফ্র্যাঙ্ক লেবউফ। নিজের উত্তরসূরীকে একদিন দেখতে চান গ্রেটদের কাতারে।