এবারও বই উৎসব না হলেও বছরের প্রথমদিনই শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায়। তিনি আরও জানান, নতুন বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ বিষয়বস্তুতে কিছু পরিবর্তন আনার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো অভিভাবকদের জন্য দুই কোটি গাইড বই ছাপা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বইয়ে পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশুদের নিয়ে এক্সপেরিমেন্টের পক্ষে নন উপদেষ্টা।২০০৯ সালে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যবই দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এর পরের বছর থেকেই ১ জানুয়ারিতে শুরু হয় বই উৎসবের রেওয়াজ। এতে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উৎফুল্ল হত শিক্ষার্থীদের মন। তবে, গত দুই বছর বই উৎসব না হওয়ায় দেড় দশকের সেই রীতিতে ভাটা পড়ে। এছাড়া, বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী সব বই হাতে পায়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। তবে, বই উৎসব না হলেও এবার বছরের প্রথম দিনেই সব স্কুলে নতুন বই পৌঁছে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা। পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তুতে কিছু পরিবর্তন আনার পাশাপাশি শিশুর বিকাশে প্রথমবারের মতো এবার অভিভাবকদের জন্য দুই কোটি গাইড বইও ছাপার কথা জানান তিনি। আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ব্যবহারে মন্ত্রণালয়ের জরুরি নির্দেশনা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বইগুলো ছাপা হয়ে গেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বইগুলো পৌঁছে যাচ্ছে। শিশুদের উন্নয়নটা কীভাবে হয়, তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা দরকার--সেসব বিবেচনা করে আমরা গাইড বই তৈরি করেছি। এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, গল্প ও কবিতা অংশে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন হয়েছে। ‘আমরা আসলে শিক্ষার গুরুত্বটা বুঝি না। আমাদের ন্যূনতম ঐকমত্যে পৌঁছানো দরকার যে, অন্তত শিশুদের ক্ষেত্রে তো এক্সপেরিমেন্টে যাব না’, যোগ করেন ডা. বিধান রঞ্জন রায়। এদিকে, প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। শিগগিরই ১১তম গ্রেডের আওতায় আনা হবে সহকারী শিক্ষকদেরও। এছাড়া, শিক্ষকদের মূল্যায়নে একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান করার সিদ্ধান্তের কথাও জানান উপদেষ্টা। আরও পড়ুন: ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ ক্লাস্টার পদ্ধতিতে দেশের সাড়ে ৬৫ হাজার স্কুলে সঙ্গীত বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও পদ সৃষ্টি হয়েছে মাত্র আড়াই হাজার। এমন অবস্থায় প্রতিবাদের মুখে নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় বলে জানান তিনি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন লাখ প্রধান শিক্ষক পদের ৩২ হাজারের বেশি শূন্য থাকলেও মামলার কারণে এসব পদে নিয়োগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান ডা. বিধান রঞ্জন রায়।