এমবাপ্পে গ্যালারি থেকে দেখলেন বন্ধু হাকিমির দলের বিশ্বরেকর্ড যাত্রার সমাপ্তি

বন্ধু আশরাফ হাকিমির দলকে সমর্থন জানাতে স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু ফরাসি সুপারস্টারের উপস্থিতি মরোক্কানদের আর অনুপ্রাণিত করতে পারলো কই! ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ১১ নাম্বারে থাকা মরক্কো যে জিততে পারেনি ৫৩ নম্বরে থাকা মালির বিপক্ষে। এই ড্রয়ে থেমেছে মরক্কোর বিশ্বরেকর্ড গড়া জয়রথ।শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে রাবাতে আফকনের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মালির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে মরক্কো। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাহিম দিয়াজ মরক্কোকে এগিয়ে দেন। ৬৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল শোধ করেন মালির লাসিনে সিনায়োকো।এই ড্রয়ে মরক্কোর রেকর্ড ১৯ জয়ের ধারা থেমে গেছে।এই ম্যাচে জয় পেলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত আশরাফ হাকিমিদের। নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে না পারায় হতাশ স্বাগতিক সমর্থকরা ম্যাচ শেষে দলটিকে দুয়ো দেন। আসরের টপ ফেভারিট হয়েও মরক্কোর ড্রয়ের ম্যাচে ভিএআর দেখে দেওয়া দুইটি পেনাল্টিই ছিল মূল আলোচ্য।গত বছর জুনে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে জাম্বিয়াকে হারিয়ে যে জয়যাত্রা শুরু করেছিল মরক্কো, অবশেষে তা থামলো। এই পথে গত ১৪ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কঙ্গোকে হারিয়ে স্পেনের টানা জয়ের বিশ্বরেকর্ড ভেঙে দেয় তারা। সেটি ছিল অ্যাটলাস লায়ন্সদের টানা ১৬তম জয়। ২০০৮ এর জুন থেকে ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত টানা ১৫ ম্যাচ জিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল স্পেন। আরও পড়ুন: আশা করি ২০২৬ বিশ্বকাপ রোনালদোর জন্য উৎসর্গ হবে: লেবোউফমরক্কোর জয়ের রথ থামল টানা ১৯ ম্যাচ জিতে।  তবে অ্যাটলাস লায়নসরা তাদের অপরাজিত ধারা বাড়িয়ে ২২ ম্যাচে নিয়ে গেছে। ২০২৩ এর আফকনের শেষ ষোলো থেকে বিদায়ের পর থেকে অপরাজিত আছে তারা।ইনজুরি থেকে সেরে ওঠা আশরাফ হাকিমি এদিন স্কোয়াডে থাকলেও মাঠে নামেননি। বেঞ্চে বসেই দেখেছেন দলের ড্র। আর পিএসজিতে তার সাবেক সতীর্থ ও বন্ধু এমবাপ্পে ছিলেন গ্যালারিতে। হাকিমির ২ নম্বর জার্সি গায়ে মরক্কোকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে'কিপ জানিয়েছে, হাকিমি নিজেই এমবাপ্পেকে এই ম্যাচটি দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বন্ধুর আমন্ত্রণ রক্ষা করে ফরাসি তারকা তার ভাই ও মা-বাবাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন।এদিন প্রথমার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর বিরতির আগে ব্রাহিম দিয়াজের নেওয়া পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় মরক্কো। ভিএআর রিভিউয়ের পর পেনাল্টি দেওয়া হয়, কারণ দিয়াজকে টপকে যাওয়ার পর ভারসাম্য ফেরাতে গিয়ে নাথান গাসামা হাত দিয়ে বল স্পর্শ করেছিলেন বলে রায় দেন রেফারি।দ্বিতীয়ার্ধে জাওয়াদ এল ইয়ামিকের ফাউলে লাসিনে সিনায়োকো পড়ে গেলেও প্রথমে পেনাল্টি দেওয়া হয়নি, যা নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে। কিছুক্ষণ পর রিভিউ দেখে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন। ৬৪তম মিনিটে স্পট-কিক থেকে গোল করে সমতা ফেরান সিনায়োকো। আরও পড়ুন: ভারতের ক্লাব থেকে সব বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছে সিটি ফুটবল গ্রুপস্থানীয় সমর্থকদের খুশি করতে জয়সূচক গোলের জন্য মরক্কো মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায়। কিন্তু মালি গোলকিপার জিগুই দিয়ারা নায়ক হয়ে ওঠেন। তিনি ইউসুফ এন-নেসিরির শট ঠেকান এবং ওয়ো কুলিবালির আত্মঘাতী গোলও রুখে দেন।গ্রুপ ‘এ’-এর আগের ম্যাচে জাম্বিয়া ও কোমোরোস ১-১ গোলে ড্র করেছে; দুই দলই তাদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল।