রজব মাসে যেসব আমল করা যায়

রজব আরবি শব্দ। এর অর্থ সম্মান করা। ইসলামে চারটি পবিত্র মাসের একটি হিসাবে একে গণ্য করা হয়। রজব ও শাবান মাস পবিত্র রমজানের আগমনি বার্তা বহন করে। এ মাস আসলেই নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বেশি বেশি দোয়া করতেন।রজব মাসে যেসব আমল করা যায় হজরত উম্মে সালমা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাস ছাড়া সবচেয়ে বেশি রোজা পালন করতেন শাবান মাসে, অতঃপর রজব মাসে। হজরত আয়েশা রা. বলেন, যখন রজব মাস আসত, রসুলুল্লাহ সা. এর আমলের আধিক্য দেখেই আমরা তা বুঝতে পারতাম। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লা রজব মাসে ১০টি রোজা রাখতেন, শাবান মাসে ২০টি রোজা রাখতেন, রমজান মাসে ৩০টি রোজা রাখতেন। (দারিমি)। আরও পড়ুন: হজরত ঈসা (আ.) সম্পর্কে কোরআনে যা বলা হয়েছেরজব মাসের আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বেশি বেশি নফল রোজা পালন করা। মাসজুড়ে প্রিয় নবীজি সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লা-এর নিয়মিত আমল- সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা পালন করা। তাছাড়া মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ রোজা পালন করা। মাসজুড়ে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। বিশেষ করে তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত-দোহা, জাওয়াল, আউয়াবিন, তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলুল মাসজিদ ইত্যাদি নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া খুবই জরুরি। হজরত সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস থেকে জানা যায়, রজব মাসের প্রথম তারিখে ১০ রাকাত নফল নামাজ পড়তে হয়। হজরত ওমর রা. বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সা. বলেন, অতি মহান (মর্যাদার) ৪টি রাত হলো- রজব মাসের প্রথম রাত, শাবান মাসের মধ্য দিবসের রাত (শবেবরাত), শাওয়াল মাসের প্রথম রাত (ঈদুল ফিতর বা রমজানের ঈদের রাত), জিলহজ মাসের দশম রাত (ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদের রাত)।