দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে শীত। পৌষ মাসের আজ ১২ তারিখ। এরইমধ্যে দিন ও রাতের তাপমাত্রার ব্যবধান দ্রুতই কমে আসছে। আগামী জানুয়ারী মাসে শীতের এই প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অফিসের ৫ দিনব্যাপী নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। তবে, আজ শনিবার সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠাণ্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। শনিবার সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, পৌষ মাসে এমন শীত স্বাভাবিক। তবে ঢাকার তাপমাত্রা গত দুই দিন থেকে হঠাৎ কমে গেছে। যেখানে গত ৭/৮ দিন আগেও ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গেছে ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মাত্র ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজও ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেশি উঠবে না। চলতি সাপ্তাহের শেষের দিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে ৩০ তারিখের দিকে। তবে জানুয়ারির প্রথম সাপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের আওতা বাড়তে পারে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যশোরে। ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরএএস/এএমএ/এএসএম