নাজিব রাজাকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড

বহুল আলোচিত ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির চূড়ান্ত মামলায় মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১১.৩৮ বিলিয়ন রিঙ্গিত জরিমানা করেছেন দেশটির হাইকোর্ট।স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় হাইকোর্টের বিচারক দাতুক কলিন লরেন্স সেকুয়েরাহ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালত নাজিব রাজাককে মোট ২৫টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এর মধ্যে ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে ২.৩ বিলিয়ন রিঙ্গিত ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ক্ষমতার অপব্যবহারের চারটি মামলায় তাকে প্রতিটিতে ১৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া ২১টি অর্থ পাচারের অভিযোগে প্রতিটিতে ৫ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সব সাজা একই সাথে চলবে। তবে এই সাজা বর্তমান এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল মামলার সাজা শেষ হওয়ার পর শুরু হবে। আদালত প্রতিটি চার্জের জন্য পৃথকভাবে জরিমানা নির্ধারণ করেছে ১. প্রথম চার্জে ৩০৩.১ মিলিয়ন রিঙ্গিত। ২. দ্বিতীয় চার্জে ৪৫৪.৫ মিলিয়ন রিঙ্গিত। ৩. তৃতীয় চার্জে ১০.৪ বিলিয়ন রিঙ্গিত। ৪. চতুর্থ চার্জে ২২২.৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত। আরও পড়ুন: অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় নাজিব রাজাক দোষী সাব্যস্ত যদি নাজিব এই জরিমানা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন তবে তাকে প্রতিটি চার্জের বিপরীতে অতিরিক্ত ১০ বছর করে জেল খাটতে হবে। এছাড়া অর্থ পাচারের মামলার অধীনে আরও ২.০৮ বিলিয়ন রিঙ্গিত ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে নাজিব রাজাক এসআরসি ইন্টারন্যাশনাল মামলায় ৬ বছরের সাজা ভোগ করছেন (যা আগে ১২ বছর ছিল)। ২০২৮ সালের ২৩ আগস্ট সেই সাজা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ওয়ানএমডিবি মামলার নতুন এই সাজা কার্যকর হলে ৭২ বছর বয়সি এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সম্ভবত ২০৪৩ সাল পর্যন্ত কারাগারে থাকতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে তার বয়স হবে প্রায় ৯০ বছর। নাজিব রাজাকের প্রধান আইনজীবী তান শ্রী মুহাম্মদ শাফি আবদুল্লাহ রায়ের পর হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার ৫০ বছরের আইনি পেশায় এই প্রথম কোনো মামলায় সবগুলো চার্জে হারলাম।’ তিনি আরও বলেন, আগামী সোমবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করা হবে। ২০১৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চলা এই বিচার প্রক্রিয়ায় ৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। ২০২৪ সালের ৩০ মে প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছিল।