গানের মঞ্চে ওঠার আগেই উত্তাল হয়ে উঠল পরিবেশ। বহিরাগতদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেল রক কিং জেমসের প্রতীক্ষিত কনসার্ট। ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের পণ্ড হওয়ার ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন জেমস নিজেই। ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী দিনে ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। বহিরাগতদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের মুখে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমসের কনসার্ট বাতিল করতে বাধ্য হয় আয়োজকরা। এ ঘটনায় আয়োজক কমিটির আহ্বায়কসহ আহত হন প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন। ঘটনাটি নিয়ে প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানালেন জেমস। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ আয়োজকদের অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতা। নিরাপত্তা ও দর্শক ব্যবস্থাপনায় বড় ঘাটতি ছিল।’আরও পড়ুনজেমসের কনসার্টে ভয়াবহ হামলার বর্ণনা দিলেন উপস্থাপকজেমসের কনসার্টে হামলা, পাঁচজন নিহতের গুজবতৌহিদি জনতা নয়, জেমসের কনসার্টে হামলার আসল সত্য জানালেন শিক্ষার্থী জেমসের ব্যক্তিগত সহকারী রবিন ঠাকুর পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানান, ‘আমরা সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফরিদপুর পৌঁছাই। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই শুনি সেখানে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে। তখন আমরা গেস্ট হাউসেই ছিলাম। রাত সাড়ে দশটার দিকে পরিস্থিতি চরমে পৌঁছালে আমাদের জানানো হয় অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এরপরই ঢাকায় ফিরে আসি।’ জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্কুল প্রাঙ্গণে জেমসের সংগীত পরিবেশনের কথা ছিল। তবে অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র নিবন্ধিত প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত থাকায় অনিবন্ধিত কয়েক হাজার বহিরাগত ভেতরে ঢুকতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বহিরাগতদের জন্য বাইরে দুটি প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করা হলেও তারা তাতে সন্তুষ্ট হয়নি। একপর্যায়ে দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। তখনই শুরু হয় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। স্কুল প্রাঙ্গণের দর্শক ও মঞ্চ লক্ষ্য করে ছোড়া ইট-পাটকেলে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উত্তেজনা আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতির অবনতি দেখে রাত দশটার দিকে আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান শামীম মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে জেমসের কনসার্ট বাতিল করা হয়েছে। এলআইএ