উড়তে থাকা রাজশাহীকে মাটিতে নামালো ঢাকা

এক ম্যাচ জিতেই কি উড়া যায়? সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স যে দাপুটে জয় পেয়েছিল, তাতে উড়াই স্বাভাবিক। ১৯১ রানের লক্ষ্যে পেয়েছিল ৮ উইকেটের জয়। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেঞ্চুরি করেছিলেন, মুশফিকুর রহিম করেছিলেন ফিফটি। রাজশাহীর না উড়ার কোনো কারণ নেই। এক ম্যাচ পরই তাদের মাটিতে নামালো ঢাকা ক্যাপিটালস।সিলেটের বিপক্ষে রাজশাহীর মিডলঅর্ডারকে পরীক্ষাই দিতে হয়নি। ৪ জনের ব্যাটেই জয়ের বন্দরের নাগাল পেয়ে গেছিল। আজ পরীক্ষা দিতে নেমে ভয়াবহ ব্যর্থ হয়েছে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩২ রান করে তারা। ১৩৩ রানের লক্ষ্য ঢাকা পেরিয়েছে ৭ বল হাতে রেখে। তাদের জয় ৫ উইকেটে।আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রথম বলেই তারা হারায় ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানের উইকেট। ইমাদ ওয়াসিমের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি। তানজিদ হাসান তামিম ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত পরিস্থিতি সামাল দেন। পঞ্চম ওভারের এক বল বাকি থাকতে আউট হন তানজিদ। ১৫ বলে ২০ রান করে নাসিরের বলে ক্যাচ দেন এই ওপেনার।আরও পড়ুন: সিলেট স্টেডিয়ামে হবে জাকির জানাজাচারে নামা ইয়াসির আলী সময়ের দাবি মেটাতে পারেননি। ১৫ বলে ১৩ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হন তিনি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শান্ত আজও ভালো খেলছিলেন। কিন্তু ইমাদ ওয়াসিম তাকেও ফেরান। ২৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৭ রান করেন রাজশাহীর অধিনায়ক। জিয়ার করা পরের ওভারে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন মেহরব।মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ নাওয়াজ রান রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ওয়ানডে স্ট্যাইলে ব্যাট করেছেন। মুশফিক ২৩ বলে ২৪ রান করে নাসিরের বলে আউট হন। নাওয়াজ ২৬ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার পক্ষে ইমাদ ৪ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট এবং নাসির ৪ ওভারে ৩২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া সালমান মির্জা, জিয়াউর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।