মালয়েশিয়ায় বছরজুড়ে অভিযানে ১১ হাজার ১০৫ বাংলাদেশিসহ আটক ৯০ হাজার

মালয়েশিয়ায় বছরব্যাপী পরিচালিত ধারাবাহিক চিরুনি অভিযানে বাংলাদেশসহ এখন পর্যন্ত ৯০ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।চলতি বছরের শুরু থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পৃথক ১৩ হাজার ৬৭৮টি অভিযানে এই বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে আটক করা হয়। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে অভিবাসন বিভাগের উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) লোকমান এফেন্দি রামলি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ে মোট ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৪৩ জন বিদেশি নাগরিককে তল্লাশি করা হয়। এর মধ্যে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৯০ হাজার ৮২৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তল্লাশিতে ৫ হাজার ২৯৪ জন জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্ডধারীও ছিলেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরাসরি অভিযানে আটক হয় ৫০ হাজার ৪৭২ জন এবং দেশটির প্রবেশপথ ও অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে আটক হয়েছেন ৪১ হাজার ৩৫৭ জন। আরও পড়ুন: পোস্টাল ভোট / মালয়েশিয়া প্রবাসীদের নিবন্ধন ছাড়াল ৪১ হাজার আটককৃতদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক অভিবাসী ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক ছিলেন ১৫ হাজার ৩৮৫ জন। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ১১ হাজার ১০৫ জন বাংলাদেশি। অন্যদিকে, মিয়ানমারের ৯ হাজার ৭৮৯ জন, ফিলিপিন্সের ৪ হাজার ৩৬৫ জন, পাকিস্তানের ২ হাজার ৪৭৯ জন। এছাড়া ভারত, থাইল্যান্ড, চীন, ভিয়েতনাম ও নেপালসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক এই তালিকায় রয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের পাশাপাশি তাদের আশ্রয় দেয়া এবং অবৈধভাবে কাজে নিয়োগ করার অপরাধে ২ হাজারেরও বেশি মালিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মালিকদের মধ্যে রয়েছেন মালয়েশীয় নাগরিক ২ হাজার ১২ জন, বাংলাদেশি নিয়োগকর্তা ৩৪ জন এবং ইন্দোনেশীয় নিয়োগকর্তা ২১ জন।  আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের বহিষ্কারাদেশে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা লোকমান এফেন্দি রামলি জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মূলত তিনটি প্রধান অভিযোগ আনা হয়েছে; বৈধ নথিপত্র বা পাসপোর্ট না থাকা, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অবস্থান করা (ওভারস্টে) এবং ওয়ার্ক পারমিট বা কাজের অনুমতির অপব্যবহার। তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, জনসাধারণের অভিযোগ এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযানগুলো চালানো হয়েছে। যারা আইন লঙ্ঘন করে অবৈধ কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। আগামীতে এই অভিযান আরও জোরদার করা হবে বলেও জানান তিনি।