আজকের আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট কবে জিতেছিল ইংল্যান্ড, মনে আছে কী? মনে থাকার কথাও নয়, কেননা সেই ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে টেস্ট জিতেছিল ইংলিশরা। এরপর মাঝে ১৫ বছর কেটে যাওয়ার পর শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে তাদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ জিতলো ইংল্যান্ড, তাও আবার মাত্র দুই দিনেই!প্রথম তিন ম্যাচ জিতে অ্যাশেজ সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া, বাকি দুই ম্যাচ স্রেফ নিয়মরক্ষার। তবে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও উত্তেজনা কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। মেলবোর্নে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচেও ছিল গ্যালারি ভরা দর্শক। তবে দর্শকদের একটু হতাশই হতে হয়েছে বৈ কি। কেননা, ৫ দিনের ম্যাচ শেষ মাত্র ২ দিনেই। মেলবোর্নে জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল ইংল্যান্ড— যে রান আগের তিন ইনিংসের চেয়ে বেশি। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটের জয় পায় ইংলিশরা। এই ইনিংসে ৪০ রান করে দলের জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছেন বেথেল, যা এই ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। আরও পড়ুন: লোকসানের চিন্তায় ঘুম হারাম ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও’র ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ইংল্যান্ডের জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখে বেশ আনন্দিত বেথেল। ‘জয়ে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে...দর্শকদের মধ্যে মা–বাবা আছেন। তাঁদের এখানে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। রুটের সঙ্গে ব্যাট করাটা স্বপ্নের মতো, যদিও দুজনে শেষ করে আসতে পারিনি। কিন্তু (জয়টা) অবিশ্বাস্য।’ তবে মেলবোর্নের পিচকে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ঠিক আদর্শ বলে মনে করেন না স্টোকস। গতকাল প্রথম দিনে পড়েছে ২০ উইকেট। আজ পড়েছে ১৬ উইকেট— সেটাও দিনের খেলার ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় বাকি থাকতে। ইংল্যান্ড এর মধ্যে জয় পেলেও মেলবোর্নে পিচ নিয়ে খেলা শেষে স্টোকস বলেন, ‘আমরা জিতেছি— কিন্তু সত্যি বলতে আমাদের প্রত্যাশায় এটা (পিচের আচরণ) ছিল না। এটা আদর্শ নয়, দুই দিনেরও কম সময়ে শেষ হলো খেলা। তবে এসব বিষয়ে একপাশে সরিয়ে বলতে পারি, মাঠের কন্ডিশনের মুখোমুখি হতে সাফল্য পেতে সেরা কৌশলটাই বেছে নিতে হয়। রান তাড়ায় আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমি সত্যিই গর্বিত।’ আরও পড়ুন: ১৪ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট জিতল ইংল্যান্ড মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। হারের কারণটাও খোঁজার চেষ্টা করলেন, ‘একটু কঠিন ছিল। ম্যাচটা খুব দ্রুতই শেষ হলো। আমরা যদি দুই ইনিংসেই আরও ৫০ থেকে ৬০ রান বেশি করতে পারতাম তাহলে হয়তো হতো। কিন্তু ইংল্যান্ডকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আজ সকালে তারা দারুণ বোলিং করেছে। ব্যাটিংয়েও আক্রমণাত্মক ছিল। যেভাবে তারা খেলেছে সে জন্য কৃতিত্ব দিতেই হয়।’ মেলবোর্নের পিচ নিয়ে স্মিথ বলেন, ‘পিচ আসলে তেমন বদলায়নি। পুরো ম্যাচেই একটু (মুভমেন্ট) হয়েছে...আমার মনে হয় এটা বোলারদের পক্ষে একটু বেশিই সহায়ক ছিল। কেউই ঠিকভাবে থিতু হতে পারেনি। দুই দিনে ৩৬ উইকেট পড়াটা একটু বেশি বেশিই। ঘাস ৮ মিলিমিটারে (মেলবোর্নের পিচে ঘাস ১০ মিলিমিটার লম্বা) নামিয়ে আনলে হয়তো ঠিক হতে পারে।’