মাহিদুল-জাকেরের জুটিতে নোয়াখালীর সম্মানজনক পুঁজি

চট্টগ্রামের বিপক্ষে বড় হারের ধাক্কার ধকলটা রয়ে গেছে নোয়াখালীর। সিলেট টাইটান্সের বিপক্ষে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে নড়বড়ে শুরু করে দলটি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ধীরগতির ফিফটি ও জাকের আলী অনিকের ক্যামিওতে ১৪৩ রানের সম্মানজনক পুঁজি দাঁড় করিয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেস। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নোয়াখালীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক সিলেট। নোয়াখালীকে শুরুতেই চেপে ধরেন খালেদ আহমেদ ও মোহাম্মদ আমির। প্রথম ৩ ব্যাটারের কেউই খুলতে পারেননি রানের খাতা। ইনিংসের প্রথম বলেই মাজ সাদাকাতকে সাজঘরে ফেরান আমির। হাবিবুর রহমান সোহান ও হায়দার আলীও রানের খাতা না খুলেই ইনিংস দ্বিতীয় ওভারে পরিণত হন খালেদের শিকারে। ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নিতে পারেননি অধিনায়ক সৈকত আলীও। ২৪ রান করে সাইম আইয়ুবের বলে ক্যাচ দেন নাসুম আহমেদকে। ৪১ রানে ৪ উইকেট হারায় নোয়াখালী। প্রতিপক্ষের পরের উইকেটও তুলে নেন সাইম আইয়ুব। সাব্বির হোসেন ১৫ রান করার পর সাজঘরে ফেরেন দলীয় ৭০ রানে। ৫ উইকেট হারানোর পর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলী অনিক দায়িত্ব নেন নোয়াখালীর। দুজনের ৬৬ রানের জুটিতেই এতটুকু আসতে পেরেছে নোয়াখালী। পরপর দুই বলে আউট হন জাকের ও রেজাউর রহমান রাজা। ১৭ বলে ২৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে খালেদের বলে জাকের বোল্ড হন। পরের বলেই আউট হন রাজাও। ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেটের পতন হয় ১৩৬ রানে। অর্ধশতকের দেখা পান অঙ্কন। যদিও খুবই ধীরগতির ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের স্কোর ৭ উইকেটে ১৪৩ করেন অঙ্কন। ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অপরপ্রান্তে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান মাহমুদ। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ শিকার খালেদের। দুটি সাইম আইয়ুবের ও একটি মোহাম্মদ আমিরের। আইএন