তারেক রহমানের প্রটোকলের চেয়ে প্রটেকশনই বেশি জরুরি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য প্রটোকলের চেয়ে প্রটেকশনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে এই মন্তব্য করেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, প্রাইম মিনিস্টার ইন ওয়েটিং—এই পরিচয়ে তারেক রহমান বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তার দেশে প্রত্যাবর্তনকে কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই; এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে গভীর আবেগ, অনুভূতি এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাব। তিনি বলেন, এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে বিএনপির নেতা হওয়া জরুরি নয়; একজন সচেতন নাগরিক হিসেবেই বিষয়টি অনুধাবন করা যায়। তার মতে, এই সময়ে তারেক রহমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো গভীরভাবে আমলে নেওয়া প্রয়োজন। মুশফিকুল ফজল আনসারী উল্লেখ করেন, দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মানববর্ম তৈরি করে তাকে আগলে রাখবেন—এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য প্রটোকলের চেয়ে প্রটেকশনই বেশি গুরুত্বপূর্ণ পোস্টে তিনি আরও লেখেন, তারেক রহমান ব্যক্তিগত জীবনে সাধারণ ও সহজ চলাফেরায় অভ্যস্ত মানুষ। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় তার ব্যক্তিগত স্বভাবের চেয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা জরুরি। কাছে ভিড় করে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা না করে দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে সবচেয়ে বড় সহায়তা। তিনি বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী তারেক রহমান নিজেই কাছে ডেকে নেন—এমন দৃষ্টান্ত অতীতেও রয়েছে। তাই অপ্রয়োজনীয় ভিড় বা হঠাৎ সামনে চলে আসার প্রবণতা পরিহার করাই শ্রেয়। মিডিয়ার ভূমিকা প্রসঙ্গে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, দীর্ঘদিন পর একজন ‘মজলুম নেতার’ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে গণমাধ্যমের আগ্রহ স্বাভাবিক। ঢাকার একটি টেলিভিশন চ্যানেলের রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি জানান, তারেক রহমানের আগমন কেন্দ্র করে কনটেন্ট ভিউ ৩০ কোটির বেশি হয়েছে। তার মতে, এটি তারেক রহমানের রাজনৈতিক গুরুত্ব, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, জনআগ্রহের প্রতিফলন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, দীর্ঘদিন পর দেশে ফেরার কারণে তারেক রহমানের কিছু ব্যক্তিগত কর্মসূচি থাকাটাও স্বাভাবিক এবং সেগুলো ব্যক্তিগত থাকাই উচিত। দলীয় কর্মসূচির বাইরে তার ব্যক্তিগত সময় বা কার্যক্রম নিয়ে লাইভ সম্প্রচার, সংবাদ সংগ্রহের নামে অনুসরণ কিংবা অপ্রয়োজনীয় প্রচার এড়িয়ে চলার আহ্বান। এখানেও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িত বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত। ফেসবুক পোস্টের শেষে তিনি স্পষ্ট করেন, এসব মন্তব্য তার একান্ত ব্যক্তিগত ভাবনা। কেএইচ/এমআইএইচএস/এমএস