গণঅভ্যুত্থানের পর পাঠ্যবইয়ে একের পর এক পরিবর্তন এনেছে সরকার। এবার বই থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে থাকা ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ বাদ দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়েও শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটি রাখা হয়েছিল। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তা আর থাকছে না। জাতীয় শিক্ষাক্রম কমিটি (এনসিসি) অনুমোদনক্রমে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনসিটিবি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের নতুন বইয়ের অনলাইন ভার্সন উন্মুক্ত করা হবে। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে এসব বইয়ের অনলাইন ভার্সন পাওয়া যাবে। আরও পড়ুনস্কুলে পৌঁছেছে প্রাথমিকের সাড়ে ৮ কোটি বই, অপেক্ষায় শিক্ষার্থীরা ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের অষ্টম শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়’ বিষয়ের একটি বই জাগো নিউজের হাতে এসেছে। তাতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ নামে তৃতীয় অধ্যায়ের ‘পাঠ-২: ৭ মার্চের ভাষণ রয়েছে। এতে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শব্দটি ছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান রাখা হয়েছে। আরও কিছু পাঠ্যবইয়েও একইভাবে শেখ মুজিবুর রহমান নামটি ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এনসিটিবি সূত্র দাবি করেছে, পাঠ্যবইয়ে ‘শিরোনাম’ কিংবা ‘উপাধি’ হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ‘বঙ্গবন্ধু’ দেওয়া হলে সেটি সংশোধন করা হয়নি। তবে শুধু নাম বলার বা বোঝানোর ক্ষেত্রে ‘বঙ্গবন্ধু’ থাকলে সেখানে সংশোধন করে ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ করা হয়েছে। জানা যায়, ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিবুর রহমান আগরতলা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে মুক্তি লাভ করেন। পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তার সম্মানে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক জনসভার আয়োজন করে। সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়। তখন সেটি ঘোষণা দিয়েছিলেন তৎকালীন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ। এএএইচ/ইএ/এমএস