ভেনামি চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি চাষের উন্নয়নে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, চাষিদের উৎপাদন ব্যয় কমাতে মাছের খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দেশেই পোনা উৎপাদনে নতুন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় একটি ভেনামি চিংড়ি ঘের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।উপদেষ্টা জানান, ভেনামি চাষের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অযথা বিলম্ব হচ্ছে না। গলদা ও বাগদা চিংড়ি চাষের কোনো ক্ষতি না করে পরিকল্পিতভাবে ভেনামি চাষ সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভেনামি চাষ বাড়লে দেশের চিংড়ি রপ্তানির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।এ সময় তিনি বলেন, টেকসই উৎপাদনের জন্য নিজস্ব ফিড উৎপাদন ও পোনা উৎপাদনে গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে সংকট থেকে যাবে। পাশাপাশি পোলট্রি খাতে হঠাৎ করে ডিমের দাম কমে যাওয়ার বিষয়টিও সরকার গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং এ নিয়ে কাজ চলছে বলে জানান উপদেষ্টা।আরও পড়ুন: অবকাঠামো সংকটে খুলনা নদীবন্দর, অর্ধেকে নেমেছে পণ্য খালাসদেশের মৎস্য খাত নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, পদ্ধতিগত ঘাটতির কারণে বাংলাদেশ এখনো এ খাত থেকে প্রত্যাশিত সুফল পায়নি। প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছের পোনা আহরণে আইনগত সীমাবদ্ধতা থাকায় দেশে আরও বেশি হ্যাচারি স্থাপন করে পোনা উৎপাদন বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে।তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের নীতিগত ত্রুটির কারণে চিংড়ি রপ্তানি খাত পিছিয়ে পড়েছে। রপ্তানিতে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প আবারও শক্ত অবস্থান ফিরে পায়।এ সময় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।