তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন জাতির নতুন করে জেগে ওঠার মুহূর্ত: প্রিন্স

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কেবল একজন নেতার দেশে ফেরা নয় বরং এটি একটি জাতির নতুন করে জেগে ওঠার মুহূর্ত। তিনি বলেন, রাজসিক অভ্যর্থনার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে যে তিনি আজ আর শুধু একটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব নন, তিনি জনগণের আশা ও ভরসার নাম। লাখো মানুষের উপস্থিতি এই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, এ দেশের মানুষ তারেক রহমানকে নেতৃত্বে দেখতে চায়।শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গোসাইপুর গারো পল্লীতে বড় দিনের এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বর্তমানে জনগণ নিরাপত্তাহীন ও দিশেহারা বোধ করছে। মানুষের জানমাল নিরাপদ নয় এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই সংকটের সময়ে জনগণ একজন অভিভাবক খুঁজছেন যিনি তাদের নিরাপত্তা, সম্মান এবং উন্নত মানবিক জীবন নিশ্চিত করবেন। আর সেই অভিভাবক হিসেবে আজ মানুষের মুখে মুখে তারেক রহমানের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, জনগণ আজ নতুন সংগ্রামের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।তারেক রহমানের সাম্প্রতিক ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে, আমার দেশের জন্য, আমার দেশের মানুষের জন্য'- তার এই দৃপ্ত উচ্চারণ আজ শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। কারণ এই কণ্ঠের মাঝে ছিল দায়িত্বশীলতা এবং আগামীর বাংলাদেশের সঠিক রূপরেখা।খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মানুষ যুগ যুগ ধরে মিলেমিশে বসবাস করছে। এই ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করতে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সহমর্মিতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বিএনপি একটি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।আরও পড়ুন: দেশকে যারা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না: প্রিন্সঅনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ গারো খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের ব্যক্তিগত খোঁজখবর নেন এবং তাদের সুখ-দুঃখের কথা শোনেন। একই সঙ্গে স্থানীয়দের জীবনযাপন, শিক্ষা ও সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা মতবিনিময় করেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সেন্ট পল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সাবেক প্রিন্সিপাল মিস্টার কেনুস ম্রং, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দল ধোবাউড়া শাখার সভাপতি মিসেস সবিতা থিগিদি এবং ধোবাউড়া উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শমুয়েল চিরান।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ধোবাউড়া উপজেলার সদস্য সপিনা ম্রং, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, সদস্য সচিব আনিসুর রহমান মানিক, ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবীর, সাবেক চেয়ারম্যান গাজীউর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর।