‘চ্যালেঞ্জ জয়ের মিশনে তারেক রহমান’, ‘ভাঙনের পথে এনসিপি’

দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় রোববারের (২৮ ডিসেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো।বিএনপির শরিকদের কেউ ধানের শীষে, কেউ দলীয় প্রতীকে লড়বেন - দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান সংবাদ এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য এখন পর্যন্ত ১৫টি আসন নিশ্চিত করেছে বিএনপি। এর মধ্যে ছয়টি দল ছাড়া অন্য শরিক দলের নেতারা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন। এ জন্য চারটি দলের প্রধান নেতারা ইতিমধ্যে নিজ দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আরও দুটি দলের মহাসচিব দল ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত শরিক দলের পাঁচ নেতা ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন।  বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা করলেও ছয়টি দল নিজ নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলগুলো হলো: নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণ অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। এর মধ্যে বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ ভোলা-১ (সদর) আসনে গতকাল শনিবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি দলের ‘গরুর গাড়ি’ প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে ভাঙনের পথে এনসিপি - যুগান্তরের প্রথম পাতার সংবাদ এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট করতে গিয়ে বড় ধরনের হোঁচট খেয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সঙ্গে এনসিপির সমঝোতায় আপত্তি জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে দলের কেন্দ্রীয় ৩০ নেতা চিঠি দিয়েছেন। জানা গেছে, এ ঘটনায় এনসিপির মধ্যে তোলপাড় চলছে। আজকালের মধ্যে দলটির আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। এমন পরিস্থিতি হলে এনসিপিতে বড় ধরনের ভাঙন দেখা দিতে পারে।  ইতোমধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। এছাড়া যুগান্তরের সঙ্গে আলাপকালে আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা দল থেকে পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে আর একটু এগোলেই পদত্যাগের হিড়িক পড়বে। দল-জোটে ভাঙাগড়ার খেলা - দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান সংবাদ এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামীকাল সোমবার। এর আগে দল-জোটগুলোতে চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। বিএনপি থেকে কোনো আসন কিংবা চাহিদা অনুযায়ী আসনসমূহ ছাড় না পেয়ে দলটির দীর্ঘদিনের পুরোনো মিত্রদের কেউ কেউ ভিড়ছেন জামায়াতের জোটে; কেউ ঘোষণা দিয়েছেন এককভাবে নির্বাচনের। নতুন করে জোটে সম্পৃক্ত হতে কয়েকটি দলের আগ্রহের কারণে আসন বণ্টন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে জামায়াতেও।  সংশোধিত গণপ্রতিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী জোটের প্রার্থী হলেও নিবন্ধিত দলের নেতাদের লড়তে হবে নিজ প্রতীকে। এমন বাধ্যবাধকতার কারণে বিএনপির ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচন করতে কেউ কেউ নিজের এতদিনের দল ছেড়েছেন। কেউ কেউ আসনের বিনিময়ে বিএনপিতে বিলীন হয়ে নিজের দলই বিলুপ্ত করেছেন। আবার কোন দলের সঙ্গে জোট বাঁধবে, এ নিয়ে পছন্দ-অপছন্দের জেরে কেউ কেউ দল থেকে পদত্যাগ করে ‘স্বতন্ত্র’ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণাও দিচ্ছেন। নির্বাচন সামনে রেখে আসন-সমঝোতায় এরকম নানামুখী সমীকরণ ঘটছে দল-জোটগুলোতে। চ্যালেঞ্জ জয়ের মিশনে তারেক রহমান - কালের কণ্ঠের প্রধান সংবাদ এটি। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময়ের নির্বাসিত জীবন ছেড়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গত বৃহস্পতিবার রাজসিক সংবর্ধনার মাধ্যমে দেশবাসী তাঁকে বরণ করে নিয়েছে। দেশে ফিরে তিনি বসে থাকেননি। নিরাপত্তাঝুঁকি থাকলেও গত দুই দিন তিনি মিশেছেন জনস্রোতে।  যাচ্ছেন জনগণের মাঝে। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। বাবা ও ভাইয়ের পাশাপাশি ২৪-এর জুলাই গণ-আন্দোলনের সম্মুখ সারির যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির কবরও জিয়ারত করেছেন। তারেক রহমান এখন চ্যালেঞ্জ জয়ের মিশনে নেমেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সামনে যেহেতু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, তাই নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে ঝুঁকির কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তাই সাধারণভাবে চলাচল করলেও নিজের নিরাপত্তার কথা তাঁকে ভাবতে হবে।