ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মিলে ইরানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান।ইসরাইলের সঙ্গে জুন মাসের সংঘাতের কয়েকমাস পেরোতেই আবারও নতুন যুদ্ধের ইঙ্গিত দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শিগগরিই ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর মধ্যেই শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ইরানের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ নিয়ে এই মন্তব্য করলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমার মতে, আমরা এখন আমেরিকা, ইসরাইল ও ইউরোপের সঙ্গে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে আছি। তারা চায় না আমাদের দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াক।’ আরও পড়ুন: ইরানে হামলা চালিয়ে যেভাবে তোপের মুখে পড়ে ইসরাইল তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আবার হামলা হলে আগের চেয়ে বেশি শক্ত জবাব দেবে তেহরান। পেজেশকিয়ান বলেন, আমাদের প্রিয় সামরিক বাহিনী শক্তভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। সব সংকট থাকা সত্ত্বেও এখন তাদের সরঞ্জাম এবং জনবলের দুই দিক থেকেই বেশি শক্তি আছে। তারা (ইসরাই ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) যদি আবার হামলা চালায় আগের চেয়ে শক্তিশালী জবাব পাবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এই সংঘাত ৮০ দশকের ইরান-ইরাক যুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহ হবে। দাবি করেন, পশ্চিমা শক্তি ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে লড়াই শুধু সামরিক নয় বরং নিষেধাজ্ঞা, কূটনীতি আর নিরাপত্তার সমন্বিত যুদ্ধ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। আরও পড়ুন: নামাজরত ফিলিস্তিনিকে গাড়িচাপা দিলেন ইসরাইলি সেনা এরমধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশটির যুবসমাজকে প্রতিরোধের শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছেন। তার দাবি, মার্কিন-ইসরাইলি চাপ মোকাবিলায় তরুণদের সাহস ও আত্মত্যাগই তেহরানকে টিকিয়ে রেখেছে। খামেনির ভাষায়, লড়াইটা শুধু পারমাণবিক ইস্যু নয়, এটা বৈশ্বিক আধিপত্যের বিরুদ্ধে অবস্থান। এদিকে, তেহরান-ওয়াশিংটনকে সরাসরি সংলাপে ফেরাতে চেষ্টা করছে ইরাক। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিশ্বাসের ঘাটতিই আলোচনার পথে বড় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা